বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ১২টা। ঠিক এই সময়েই বলি সুপারস্টার সলমন খানকে হুমকি-বার্তা পাঠিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। ওই হুমকিবার্তায় সলমনের আসন্ন ফিল্ম 'ম্যায় সিকান্দার হুঁ...' গানের কথাও রয়েছে। হুমকি বার্তায় বলা হয়েছে,এই গানটি যে লিখেছেন তাঁকে এক মাসের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হবে। সলমন খানকে যার সাহায্য করবে তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। সেই সঙ্গে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই টাকা দিলে সলমনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অভিযুক্তরাও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বলে দাবি করেছে। Aaj Tak-এর হাতে এসেছে এই বার্তা।
হুমকি বার্তায় লেখা,'যে এই গানটি লিখেছেন, আমরা তাঁকে ছাড়ব না। যে ব্যক্তি এই গানটি লিখেছে তাকে এক মাসের মধ্যে শেষ করব। সলমন খানকে যারাই সাহায্য করবে, তাদের আমরা ছাড়ব না। যিনি এই গান লিখেছেন তার অবস্থা এমন করে দেব যে সে নিজের নামে আর গান লিখতে পারবে না। যে গান হুমকি দেওয়া হয়েছে সেটি হল-'ম্যাঁ সিকান্দার হু, ম্যাঁ সিকান্দার হু, ম্যাঁ তুমহারা হমদর্দ হু...'
গতরাতে সলমন খানকে হুমকি দিয়েছিলেন কর্নাটকের জনৈক বাসিন্দা ভেঙ্কটেশ দাস। মুম্বই পুলিশের একটি দল কর্নাটকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কর্নাটক পুলিশ সম্ভাব্য অবস্থান খোঁজ করছে। 'অভিযুক্তদের কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে' আজ তকের সঙ্গে কথা বলার সময় একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন, যে বা যারা এই হুমকি বার্তা পাঠাচ্ছে বা কল করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র মজা বা সস্তা প্রচারের জন্য এই ধরনের হুমকি-বার্তা পাঠানো উচিত নয়।
জানা গিয়েছে, গত ৫ নভেম্বর রাতে মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে প্রথম বার্তা পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত বিক্রম বিষ্ণোই ২ কোটি টাকা দাবি করেছিল। বলেছিল, সলমন খানকে রাজস্থানের বিষ্ণোই সমাজ মন্দিরে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় তাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। বিক্রম বিষ্ণোই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ওয়েল্ডারের কাজ করত। তার পরিবার রাজস্থানে থাকে। ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করে মুম্বইতে আনা হয়। পাঠানো হয় ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং বা অন্য কোনও গ্যাংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে সে।
গত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে হুমকি পাচ্ছেন সলমন খান। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে হুমকি দেওয়া হয় সলমন খানকে। যে ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছে সে নিজেকে লরেন্সের ভাই বলে পরিচয় দিয়েছে। হুমকি দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।