সূরজ বরজাতিয়ার রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রায় সব ছবিই পারিবারিক হয়ে থাকে। ফিল্ম পরিবার থেকে আসা সুরজের কেরিয়ার আড়াই দশকেরও বেশি লম্বা। তবে তিনি খুব কম ছবি তৈরি করেন। সূরজ বরজাতিয়ার সঙ্গে সলমনের জুটি নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। আটের দশকের শেষ দিকে ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার থেকে শুরু, ২০১৫ সালেও প্রেম রতম ধন পায়ো-তে সলমন মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। এর মাঝে এই জুটি হম আপকে হ্যায় কৌন এবং হম সাথ সাথ হ্যায়-র মতো ব্লক বাস্টার উপহার দিয়েছে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া-তে নায়কের ভূমিকায় সলমন খানকে পছন্দ হয়নি সূরজের। তিনি অন্য অভিনেতাকে কাস্ট করে ফেলেছিলেন। তবে ভবিতব্য বলে একটা কথা আছে। সলমনের ভাগ্যে এই ছবি ছিল।
আজ সুরজ বরজাতিয়ার জন্মদিনে জেনে নিন এই দারুণ ইন্টেরেস্টিং গল্প। ছবির কাস্টিংয়ের সময় সলমন পোর্টফোলিওতে যে ছবিগুলি পাঠিয়েছিলেন তাতে বয়সে বেশ ছোট মনে হয়েছিল সলমনকে। সে কারণেই একাধিকবার স্ক্রিন টেস্ট করা হয় সলমানের। কিন্তু তার পরেও সুরজের সলমনকে পছন্দ হয়নি। মুখ্য ভূমিকার জন্য অন্য অভিনেতাকে কাস্টও করে ফেলেন করেন সুরজ।
সলমন ছাড়াও নায়কের ভূমিকায় বিন্দু দারা সিং, পীযূষ মিশ্র, দীপক তিজোরির কথা ভাবা হয়েছিল। ভাবা হয়েছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের নামও। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে-এ কথা জানান প্রসেনজিৎ। ফরাজ খান-কে ছবির জন্য সাইন করানো হয়। সলমন নিজেও সুরজকে কয়েকটি নাম নায়কের ভূমিকার জন্য সাজেস্ট করেন। সলমনের এই কাজে বেশ সন্তুষ্ট হন সুরজ। তার পরই সলমনের ভাগ্য শিঁকে ছেঁড়ে। ১৯৮৯ সালে ছবিটি সবচেয়ে বড় হিসাবে দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পায়।