প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) বাবা কৃষ্ণ কিশোর সিং (Krishna Kishore Singh) দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তাঁর ছেলের জীবনী নিয়ে যেন কোনও ছবি না বানানো হয়। বুধবার সেই রায় স্থগিত করেছে আদালত। অভিনেতার জীবন নিয়ে প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধেই এই আবেদন করেন তিনি।
'ন্যয়: দ্য জাস্টিস' (Nyay: The Justice) ছবিটি সুশান্তের জীবনের ভিত্তিতেই নির্মিত হবে বলে শোনা যায় এবং কে কে সিং তারই বিরোধিতা করেন। ছবির প্রযোজক এবং পরিচালক আদালতকে জানায় যে এই ছবিটিতে, প্রয়াত অভিনেতার কোনও রকম ব্যঙ্গাত্মক বর্ণনা কিংবা নাম বা তুলনা নেই কারণ এটি তাঁর কোনও বায়োপিক নয়। ছবিটি আগামী ১১ জুন মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্কের শুনানি শেষে বিচারপতি সঞ্জীব নরুলা ( Justice Sanjeev Narula) এই বিষয়ে রায় স্থগিত করেন এবং প্রযোজক ও পরিচালককে জনান যে, আদালত তার রায় ঘোষণা না করা পর্যন্ত ছবিটি রিলিজ করা যাবে না।
আদালত আরও জানায় যে, সম্ভবত ১১ জুনের আগেই রায় দেওয়া হবে। কিন্তু যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে ছবির মুক্তি পিছনে দেওয়া উচিত আপাতত। এই ছবির পরিচালক ও প্রযোজকদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী চন্দর লাল (Chander Lall) বলেছেন যে, ছবিটি নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়ে গেছে ইতিমধ্যে এবং তাই রিলিজের তারিখ পিছিয়ে দেওয়াা আশ্বাস দিতে পারবেন না তাঁরা।
চন্দর লালের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, আদালত জানিয়েছে যে ১১ জুনের আগে যদি রায় প্রদান না হয়, তবে তা পুনরায় সেই তারিখের আগে বিষয়টি গ্রহণ করে ছবি মুক্তির অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পাশ করা হবে।
আইনজীবীর পাশাপাশি প্রযোজকদের কাউন্সিলের তরফ থেকে আদালতকে জানানো হয় যে সুশান্তের ঘটনার নিয়ে কাউকে ছবি বানাতে না দেওয়া সংবিধানের আওতাধীন বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা (Freedom Of Speech And Expression ) লঙ্ঘন করা হয়। তাঁরা বলেন যে, সুশান্ত একজন তারকা। তাই মানুষের জানার অধিকার আছে যে তাঁর কী হয়েছে। এমনকি তাঁরা অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নির্মিত ভারতীয় ও বিদেশী চলচ্চিত্রের উদাহরণ টেনে বলেছিন যে এই জাতীয় ক্রিয়াকলাপগুলি আসলে অনুমোদিত।
কে কে সিংয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুশান্তের জীবনের উপর ভিত্তি করে আসন্ন বা প্রস্তাবিত কিছু ছবি হল - 'ন্যায়: দ্য জাস্টিস', 'সুইসাইড অউর মার্ডার: অ্যা স্টার ওয়াজ লস্ট', 'শশাঙ্ক' এবং নামবিহীন সংগৃহীত অর্থ দিয়ে নির্মিত ছবি। সুশান্তের বাবা দাবি করেছেন যে চলচ্চিত্র নির্মাতারা বাণিজ্যিক লাভের জন্য এই পরিস্থিতির সুবিধা নিচ্ছেন এবং তাই বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকার তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।