ফের আলোচনায় উরফি জাভেদ। সম্প্রতি দুবাই ট্রিপে গিয়ে শিরোনামে আসেন ফ্যাশন ডিভা। মরু শহরে পৌঁছানোর পরই উরফির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এর পাশাপাশি আরও একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। শোনা যায়, খোলামেলা পোশাক পরার জন্য দুবাই পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। এই খবর শুনে হতবাক উরফির ফ্যানেরা। এবার এই ভাইরাল খবরের সত্যতা জানালেন অভিনেত্রী নিজেই।
উরফি জাভেদ বলেন যে, দুবাই পুলিশ তাঁর সেটে এসেছিল। তবে তাঁর খোলামেলা পোশাকের কারণে নয়। সাংবাদমাধ্যমকে উরফি বলেন যে, শ্যুটিং লোকেশনে কিছু সমস্যা থাকার কারণে তাঁদের সেটে পুলিশ আসে। অভিনেত্রী জানান, শ্যুটিং বন্ধ করতে আসে পুলিশ। অভিনেত্রীর কথায়, "একটি পাবলিক প্লেসে শ্যুটিং সেট ছিল বলে, আমাদের শ্যুটিংয়ের নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া ছিল। প্রোডাকশন টিমও সময় বাড়ায়নি। যার কারণে আমাদের চলে যেতে হয়। আমরা পরের দিন বাকি অংশের শ্যুটিং করি। এই বিষয়টি মিটে গেছে। সেটে পুলিশ আসার সঙ্গে আমার পোশাকের কোনও সম্পর্ক নেই।"
আসলে উরফি জাভেদের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র এর আগে সংবাদমাধ্যমকে বলে যে, অভিনেত্রী দুবাইয়ের রাস্তায় খোলামেলা পোশাক পরার জন্য সমস্যায় পড়েছিলেন। উরফি তাঁর নিজের তৈরি পোশাকে দুবাইতে ইনস্টাগ্রামের জন্য একটি ভিডিও শ্যুট করেছিলেন। খোলামেলা পোশাকে জনসমক্ষে ভিডিও শ্যুট করেন অভিনেত্রী। দুবাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ওই জায়গায় এই ধরনের পোশাক পরে শ্যুট করার অনুমতি নেই। খবর অনুযায়ী, এই বিষয়ে উরফিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, এই কারণে অভিনেত্রীর দেশে ফিরতেও সমস্যা হতে পারে আপাতত। যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত থেকে কর্মজীবন নিয়ে প্রায়শই শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ। তাঁর সাহসী ফ্যাশন সেন্সের জন্যে বহুবার সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ট্রোলিংয়ের ছাড়াও প্রকাশ্য এই ধরনের পোশাক পরার জন্য উরফিকে ধর্ষণ এবং মৃত্যুর হুমকিও দেওয়া হয়। অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। তবে এসবে 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউড' রেখে নিজের অন্য ফ্যাশন গোলস সেট করাই পছন্দ উরফ জাভেদের।