নামের আমি নামের তুমি, নাম দিয়ে যায় চেনা। প্রবাদের মাহাত্ম্য হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন সইফিনা। প্রথম সন্তান তৈমুরের জন্মের পর যখন তার নাম সর্ব সমক্ষে এল, তা নিয়ে হইচই কম হয়নি। দুধের শিশুকে শাপশাপান্ত করতে পিছপা হয়নি অনেকে। তার বাবা-মাকেও রেয়াত করা হয়নি। নেটিজেনদের বক্তব্য ছিল, দেশ আক্রমণকারী এক অত্যাচারি রাজার নামে ছেলের নামকরণ করা কেন? অবশ্য সইফিনার সমর্থনেও বহু মানুষ সে সময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
শুনলে আশ্চর্য হবেন, ছেলের নাম প্রথমে তৈমুর রাখতে চাননি বাবা সইফ। তাঁর মনে দ্বিতীয় একটি নামও ছিল যা চুপিসাড়ে আড়ালে চলে যায়। তৈমুর ফারসি শব্দ। যার অর্থ লোহা। করিনা চেয়েছিলেন সন্তান যেন লোহার মতো শক্ত শরীর এবং মনের অধিকারী হয়। সইফকে এই নামেই তিনি সম্মতি দেন। তার পর যা যা হয় তা সকলেরই জানা। পরিবারের অনেকেই বলছেন, দ্বিতীয় ছেলের নাম সইফের পছন্দের সেই নামই হতে চলেছে।
পাকিস্তানি কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ-কে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন সইফ আলি খান। তাই প্রথম সন্তানের সম্ভাব্য নামের মধ্যে ফয়েজ নাম সইফ আলি খানের খুব পছন্দ ছিল। অনেকেরই ধারণা দ্বিতীয় ছেলের নাম ফয়েজ রাখতে চলেছেন সইফিনা।
তবে নাম নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজের পছন্দের নাম বছতে ব্যস্ত। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোন নাম পায় পতৌদি বংশের সবচেয়ে ছোট সদস্য।