রেটিং: ২.৫/৫
পরিচালক: অমিত কুমার
কাস্ট: সঞ্জয় কাপুর, রাইমা সেন, সাহানা গোস্বামী, কর্মা তাকাপা, শৈলী কৃষেণ, রবিন তামাং
থ্রিলার সিরিজে রহস্য যেমন প্যাঁচাতে হয়, তেমনই সেটা ছাড়াতেও হয়। দ্য লাস্ট আওয়ার দেখতে বসে মনে হল, শুধু পেঁচিয়ে গেল। ছাড়ানোর সময় আর পাওয়া গেল না। এত অতৃপ্তি নিয়ে কোনও ক্রাইম থ্রিলার, তাও আবার সুপার ন্যাচরাল থ্রিলার শেষ করার কোনও মানে নেই। দর্শকদের ধৈর্য্য হারাতে বাধ্য।
একটু গল্পের দিকে নজর দেওয়া যাক। মুম্বই থেকে বদলি হয়ে সিকিমে আসেন আইপিএস অফিসার অরূপ সিং (সঞ্জয় কাপুর)। আসার পর থেকে একের পর এক খুনের ঘটনায় আশান্ত হয়ে ওঠে শান্ত হিল স্টেশন। খুনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অ্যাঙ্গেলও রয়েছে। কোনও ভাবেই খুনের কিনারা করতে পারেন না অরূপ। শেষ বাধ্য হয়ে এক শমনের সাহায্য নিতে হয় তাঁকে। নেপালিতে শমন শব্দের অর্থ যাঁরা মৃত ব্যক্তির আত্মার সঙ্গে যোগস্থাপন করতে পারেন। স্থানীয় যুবক দেব (কর্মা তাকাপা) এ কাজে পুলিশকে সাহায্য করে। একই সঙ্গে অরূপের মেয়ে পরী-র (শৈলী কৃষেণ) সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও শুরু হয়।
মৃত ব্যক্তি তাঁর মৃত্যুর আগের এক ঘণ্টা কী ভাবে কাটিয়েছিল সে সম্পর্কে জানাতে পারে দেব। পরীও জানতে চায় তাঁর মায়ের মৃত্যু রহস্য। মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে রাইমা-কে। কত ক্ষণ স্ক্রিনে ছিলেন তা গুণে বলা যআয়। বড় জোর ২ মিনিট! ৮ পর্বের সিরিজে ২ মিনিটের অ্যাপিয়ারেন্সে রাইমা-কে কেন রাখা হল সে উত্তর পরিচালক মশাই দিতে পারেন। রাইমার অভিনয় প্রতিভাকেই ব্যবহার করা হল না। দ্বিতীয়ত পুরিশ অফিসারের ভূমিকায় সঞ্জয় কাপুর এমন কিছু আহামরি নন। তবে খুব ভালো অভিনয় করেছেন সাহানা গোস্বামী। যতটুকু সময় স্ক্রিনে থেকেছেন, প্রতিভার প্রতি পূর্ণ সুবিচার করেছেন। সিরিজ আরও অনেক টানটান হতে পারত। ক্যমেরার কাজ যথেষ্ট ভালো।
শেষ পর্যন্ত অপরাধীকে ধরতে পারা যায় কিনা, অন্য আর এক শমন ইয়ামা নাডু-কে ধরা যায় কিনা, সমস্ত মৃত্যু রহস্যের জাল ছাড়ানো যায় কি না, এত প্রশ্ন সামনে আসবে সিরিজের শেষ। যদিও সিরিজের দ্বিতীয় ভাগ যে আসতে পারে, তার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। কিন্তু প্রথম কিস্তিতেই যদি আশ না মেটে দর্শকরা কি আর দ্বিতীয়বার বেলতলায় যাবেন, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে পরিচালক অমিত কুমারকে। আজকের ওটিটি যুগে দর্শকের কাছে বিকল্প অনেক বেশি, সেটাও মনে রাখা দরকার।