Advertisement

বাবা-ছেলের সম্পর্কের রসায়ণ আর অসহায়তায় সজীব গুল্ম

ছবির গল্প বাবা এবং ছেলেকে ঘিরে আবর্তিত হয়। সদ্য মাকে হারিয়েছে ছেলেটি। নিজে হাঁপানির রোগী। নিয়মিত ইনহেলার লাগে। বাবা একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। করোনার করাল থাবায় একের পর এক পেটে কী ভাবে লাথি মেরেছে তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানবেন। প্রচুর অফিস বন্ধ হয়েছে, প্রচুর কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। একই ভাবে চাকরি যায় ভদ্রলোকের। কিন্তু ছেলেকে তিনি জানতে দিতে চান না এ কথা।

দেবপ্রসাদ হালদারদেবপ্রসাদ হালদার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Apr 2022,
  • अपडेटेड 7:40 PM IST

এক মহামারী গোটা বিশ্বের কত মানুষের কত বড় বড় সমস্যা তৈরি করেছে তার হিসেব নেই। কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, কত মানুষ দিনের পর দিন অভুক্ত থেকেছেন, কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তার সত্যিই হিসেব নেই। যাঁরা মরে গিয়ে বেঁচেছেন তাঁরা তো চলেই গেছেন। কিন্তু যাঁরা বেঁচে গিয়েছে মৃত, তাঁধের জীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিসহ। এমনই এক লোকের, এমনই এক অসহায় বাবার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে 'গুল্ম'। ২৭ মিনিটের শর্ট ফিল্ম দেখার সময় বুঝতেও পারবেন না, শেষ পাঞ্চটা কোথায় লাগতে চলেছে।

ছবির গল্প বাবা এবং ছেলেকে ঘিরে আবর্তিত হয়। সদ্য মাকে হারিয়েছে ছেলেটি। নিজে হাঁপানির রোগী। নিয়মিত ইনহেলার লাগে। বাবা একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করেন। করোনার করাল থাবায় একের পর এক পেটে কী ভাবে লাথি মেরেছে তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানবেন। প্রচুর অফিস বন্ধ হয়েছে, প্রচুর কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। একই ভাবে চাকরি যায় ভদ্রলোকের। কিন্তু ছেলেকে তিনি জানতে দিতে চান না এ কথা। গভীর রাতে পাওনাদারের তাগাদা আসে। সাইকেল বিক্রি করতে হয়। কিন্তু হার না মানার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। খিদে, শৈশব এবং পিতৃত্বেই এই যুদ্ধে কি শেষ পর্যন্ত হার মানেন? এটা জানতে হলে দেখতে হবে ছবিটি।

আরও পড়ুন

ছবির প্রধান মুখ দেবপ্রসাদ হালদার এবং অরণ্য রায়চৌধুরী। বাবার চরিত্রে অসাধারণ দেবপ্রসাদ। একজন সদ্য চাকরি হারানো ব্যক্তির অসহায়তা, পিতৃত্বের কাছে কী ভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায় তা তাঁৎ অসাধারণ অভিব্যক্তি বলে দেয়। ভাগ্যের এই নিষ্ঠুর পরিহাসকে শেষ পর্যন্ত মেনে না নিয়ে আকাশের দিকে চোখ তুলে শেষ ক'টি মিনিটের অভিনয় মনে থেকে যাবে। টাকা থাকলে কী ভাবে শৈশবও কেড়ে নেওয়া যায়, তাও বলে দেবে সেই অভিব্যক্তি। এ জন্য আলাদা কুর্নিশ প্রাপ্য দেবপ্রসাদের।

মা হারানো ছেলের চরিত্র বেশ ভালো ফুটিয়ে তুলেছে অরণ্য-ও। দর্শকদের সহানুভূতি সহজেই আদায় করে নেওয়ার মতো যথার্থ তার স্ক্রিন প্রেজেন্স। সব শেষে এখটা কথা না বললেই নয়, বাবা হিসাবে অন্য এক পিতার দুঃখটা বুকে এসে লাগবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement