Advertisement

Exclusive: ফেলুদা হিসাবে আমাকে পছন্দ করার জন্য অনেক ট্রোল হতে হয়েছে সৃজিতকে: টোটা

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ 'ফেলুদা ফেরত'। আর মুক্তির একদিনের মধ্যেই বহুল জনপ্রিয় হয়েছেন টোটা। এদিন সেই সিরিজ নিয়েই আজতক বাংলার সঙ্গে কথা বললেন টোটা রায়চৌধুরী।

ফেলুদা ফেরত সিরিজে টোটা রায়চৌধুরী।
দেবস্মিতা দাস
  • কলকাতা ,
  • 26 Dec 2020,
  • अपडेटेड 11:03 AM IST
  • আমি আমার জীবদ্দশায় এমন রেসপন্স পাইনি
  • ১২ বছর আগে যে কথা দিয়েছিল সেটা সৃজিত রেখেছে
  • ফেলুদা করতে গিয়ে মুম্বাইয়ের একটা অফার ছেড়ে দিয়েছি

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ 'ফেলুদা ফেরত'। আর সেই সিরিজ দেখার পর উচ্ছ্বসিত নেটমহলের দাবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর টোটা রায়চৌধুরী তাঁদের কাছে সেরা ফেলুদা। যদিও একথা মানতে চাননি সৃজিতের 'ফেলুদা'। বিনয়ী সুরেই টোটা জানিয়ে দেন, তিনি নিজেকে সৌমিত্র-সব্যসাচীর পরেই রাখছেন। 

সিরিজ রিলিজের একদিন অতিক্রান্ত, কেমন রেসপন্স আসছে?

ইনক্রেডিবল! এত ভাল রেসপন্স পাব, আমরা কেউই ভাবিনি। আমি আমার জীবদ্দশায় এমন রেসপন্স পাইনি। যদিও কয়েকটা ছবিই করেছিলাম, সেগুলো সফল হলেও সে সময় তো সোশাল মিডিয়া ছিল না। আর ওটিটি হওয়ার ক্ষেত্রে সকলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখতে পাচ্ছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেসেজ পাচ্ছি আমি। প্রায় সার্ভার ক্র্যাশ করার দশা। আমি শুনেছি রজনীকান্তের ছবি দেখে এমন রেসপন্স দিয়ে থাকেন। আমার ক্ষেত্রে এই প্রথম। আর বোধহয় হবেও না।

আপনার কাছে ফেলুদার চরিত্র করার অর্থ স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলা, ভেবেছিলেন এতটা সাফল্য পাবেন?

আমিও না কোনও কিছু ভেবে শুরু করিনি। প্রচুর ট্রোল হয়েছিল। অনেকেই তাঁদের বিরক্তি-হতাশার কথা জানিয়েছিল। আমাকে নির্বাচন করা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সৃজিতকে প্রচুর কথাও শুনতে হয়েছে। তবে ওঁর নিজের সাহসটা ছিল, ১২ বছর আগে যে কথা দিয়েছিল সেটাও রেখেছে। অডিশনও দিতে হয়নি। সোজা জানিয়েছে যে আমাকেই দিয়েই এই চরিত্রটি করাবে।

যখন কোনও পরিচালক বলেন অডিশন দিতে হবে না, এই চরিত্রটা আপনিই করবেন। আত্মবিশ্বাসটা কি অনেকটা বেড়ে যায়?

আমি ডিরেক্টরস অ্যাক্টর। যে প্রজেক্টেই কাজ করি না, পরিচালকের কথাই আমার কাছে বেদবাক্য। আমি পরিচালকের উপর পরিচালনা করা একেবারেই পছন্দ করি না। অনেকে সহশিল্পীদের অভিনয় সেখানে যান, সেটা আমার কাছে বিরক্তিকর। তাই পরিচালক এমন কোনও কথা বললে মনে হয় প্রাণ দিয়ে, জান দিয়ে কাজটা করি। 

Advertisement

'তোপসে' কল্পন এবং 'জটায়ু' অনির্বাণের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লাগল?

দুজনের সঙ্গেই কাজ করতে গিয়ে অসম্ভব ভাল একটা বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। কল্পনের সঙ্গে কাজ করতে করতে ভুলেই গিয়েছি যে আমার সঙ্গে বয়সের কোনও পার্থক্য রয়েছে বলে। সৃজিতের বাড়িতে স্ক্রিপ্ট শোনার পর দুজনকেই বলি আমার বাড়িতে বসে আড্ডা মারব। গত শীতেই বসেছিলাম। আলু-ফুলকপির সিঙ্গারা, মাখা সন্দেশ নিয়ে...

আপনি এগুলো খান?

(হাসি) হ্যাঁ ওই মাঝে মাঝে। খুব পরিমিত কিন্তু খাই (হাসি)। বাঙালির রক্ত তো এসব একটু না খেলে বাঁচব না। 

সেই আড্ডাতেই চরিত্র জমে উঠল?

ওই আড়াই-তিন ঘন্টা ধরে যে আড্ডা দিলাম, তারপর থেকেই অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু হয়ে উঠলাম। এই যে একে অপরের সঙ্গে কাজ করিনি সেটা কিন্তু স্ক্রিনে বোঝা যায়নি। বরং কেমিস্ট্রিটাই কাজ করল। স্কুল-কলেজ লেভেলের মত আড্ডা-ইয়ার্কি হয়েছে। সৃজিত ও অবাক হয়ে ভাবত এরা কি পাগল! 

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করতে সকলেই চায়। আর সেখানে আপনাকে নিয়েই ফেলুদার এমন সিরিজ বানিয়ে ফেললেন তিনি। ভেবেছিলেন এমনটা?

না ভাবিনি। আমার থেকে অনেক ভাল, অনেক সফল অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ওঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে। সেখানে ওঁর সঙ্গে যে আমার বিশাল যোগাযোগ ছিল তেমনটাও নয়। এটাই বোধহয় যোগ্য পরিচালকের গুণ। যাকে দরকার তাঁকে নিয়েই কাজটা করার। এই ফেলুদা করতে গিয়ে মুম্বইয়ের একটা অফার ছেড়ে দিয়েছি। সত্যি কথা বলতে মুম্বাই কেন, এখানে যদি স্টিভেন স্পিলবার্গও থাকতেন তাহলেও আমি জুরাসিক পার্ক ছেড়ে ফেলুদাই করতাম।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement