Advertisement

Sayak Chakraborty: 'ছোটবেলায় মা প্যান্ট আর গেঞ্জি কিনে দিত', এখন কেমন কাটে সায়কের পয়লা বৈশাখ?

Sayak Chakraborty: টেলি দুনিয়ায় তো বটেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় সায়ক চক্রবর্তী। তাঁকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সায়কের ব্লগ রীতিমতো জনপ্রিয় নেট দুনিয়ায়। যদিও কেরিয়ারের শুরুটা অভিনেতা করেছিলেন ছোটপর্দা দিয়েই। তবে মাঝে একেবারেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। আর সেই ফাঁকেই সায়ক শুরু করে দেন তাঁর ব্লগিং, যা দারুণভাবে জনপ্রিয়।

সায়ক চক্রবর্তীসায়ক চক্রবর্তী
মৌমিতা ভট্টাচার্য
  • কলকাতা,
  • 13 Apr 2025,
  • अपडेटेड 1:50 PM IST
  • টেলি দুনিয়ায় তো বটেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় সায়ক চক্রবর্তী।

টেলি দুনিয়ায় তো বটেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় সায়ক চক্রবর্তী। তাঁকে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সায়কের ব্লগ রীতিমতো জনপ্রিয় নেট দুনিয়ায়। যদিও কেরিয়ারের শুরুটা অভিনেতা করেছিলেন ছোটপর্দা দিয়েই। তবে মাঝে একেবারেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। আর সেই ফাঁকেই সায়ক শুরু করে দেন তাঁর ব্লগিং, যা দারুণভাবে জনপ্রিয়। ব্লগিংয়ের পাশাপাশি আবারও সিরিয়ালে কামব্যাক করেছেন। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে চিরসখা সিরিয়ালে। আর এইসবের মাঝেই bangla.aajtak.in-কে সায়ক জানালেন তাঁর পয়লা বৈশাখের প্ল্যান। 

প্রথমেই খুব আক্ষেপের সুরে সায়ক জানান যে কোনও বছর পয়লা বৈশাখেই তিনি কোনও শো বা উদ্বোধনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পান না, তবে এই বছর একটা শাড়ির দোকানের উদ্বোধনে যাবেন এইদিন। আর তারপর বাড়ি ফিরে ফিটফাট হয়ে মা ও পরিবারকে নিয়ে কোনও বাঙালি রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন তাঁরা। আসলে সায়কের কাছে পয়লা বৈশাখ মানেই চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। আর আলাদা করে কোনও প্ল্যান নেই। তবে পয়লা বৈশাখে নিজের জন্য কিছু না কিনলেও মায়ের জন্য প্রচুর শাড়ি কিনেছেন সায়ক। মা-এর পাশাপাশি সায়ক তাঁর কূটনী বৌদি, খুকু (বাড়ির পরিচারিকা) সহ বাড়ির অন্য সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক কিনেছেন। 

ছবি সংগৃহীত

সায়কের ব্লগের দৌলতে তাঁর দাদা সব্যসাচী চক্রবর্তীও ভীষণভাবে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। যদিও নববর্ষে দাদাকে কিছুই দেবেন না বলে জানিয়েছেন সায়ক। কারণ কিছুদিন আগেই দাদাকে দামি মোবাইল কিনে দিয়েছেন আর তাই সায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দাদাকে আর কিছুই কোনওদিন কিনে দেবেন না। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে না। তার অন্যতম কারণ সায়কের মা। অভিনেতা বলেন, 'মা নিরামিষ রান্না ভাল করলেও আমিষ রান্নাটা একেবারে পারে না। মাংস রান্না করলেও মনে হবে নিরামিষ মাংস খাচ্ছি। আর রোজ রোজ ট্যালট্যালে ডাল, চোখ তাকিয়ে থাকা সবজি ও মাছের ঝোল খেতে ভাল লাগে না। তাই পয়লা বৈশাখে বাইরেই খাওয়া-দাওয়া। সায়ক এও জানান, তাঁর মাও অপেক্ষা করে থাকেন বাইরে খেতে যাওয়ার জন্য।' 

Advertisement
ছবি সৌজন্যে: ইনস্টাগ্রাম

ছোটবেলায় কেমন ছিল পয়লা বৈশাখ? সায়ক বলেন, 'আমার বাড়ি সোনারপুরের মোড়ের মাথায় আর সেখানে প্রচুর দোকানে হালখাতা হত। সেই সব দোকানে গিয়ে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জিনিস দেখতাম, কেউ আমাকে কিছু কিনে দিত না তখন। কিন্তু পয়লা বৈশাখের দিন সেইসব দোকানে গেলে আমায় রসনা দিত বা ভ্যানিলা আইসক্রিম বা টুইন ওয়ান আইসক্রিম। মাসি আমায় পুজোয় জামা দিত আর জন্মদিনে। আর পয়লা বৈশাখে মা টাকা জমিয়ে পাতলা ঘরে পরার প্যান্ট আর একটা গেঞ্জি দিত। সেটা মা এখনও দিতে পারে, কিন্তু দেয় না। বহুবছর হয়ে গেল মা আর এই জিনিসগুলো দেয় না আমায়।'

ইন্ডাস্ট্রিতে সায়ক অনেক ছোটবয়স থেকেই অভিনয় করছেন। বহু প্রোডাকশন হাউসেই কাজ করেছেন অভিনেতা। এর আগে ‘করুণাময়ী রানি রাসমনি’ ধারাবাহিকে মহেন্দ্র চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন সায়ক। আর অভিনয়ের পাশাপাশি সায়ক তাঁর ডেইলি ব্লগও চালিয়ে যাচ্ছেন।    
  
 
 

Read more!
Advertisement
Advertisement