Advertisement

Prateik Babbar: বব্বর পদবি সরালেন প্রতীক, এখন থেকে কী নামে পরিচিত স্মিতা-পুত্র?

Prateik Babbar: প্রতীক বব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে, যার অন্যতম কারণ হল ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না প্রতীকের বাবা, অভিনেতা-রাজনৈতিকবিদ রাজ বব্বর। শুধু তাই নয়, বব্বর পরিবারের কেউই এই বিয়েতে অংশ নেননি।

প্রতীক বব্বরপ্রতীক বব্বর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Mar 2025,
  • अपडेटेड 7:15 PM IST
  • প্রতীক বব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে

প্রতীক বব্বর ও প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে, যার অন্যতম কারণ হল ছেলের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না প্রতীকের বাবা, অভিনেতা-রাজনৈতিকবিদ রাজ বব্বর। শুধু তাই নয়, বব্বর পরিবারের কেউই এই বিয়েতে অংশ নেননি। এইসব নিয়ে যখন বি-টাউনে আলোচনা তুঙ্গে, তারই মাঝে প্রতীক তাঁর নাম থেকে সরিয়ে দিয়ে বব্বর পদবি, তিনি পরিচিত হলেন প্রতীক স্মিতা পাটিল হিসাবে। প্রয়াত মায়ের পদবীকেই নিজের পরিচিতি বানালেন অভিনেতা। নিজের বাবার পরিচয় বর্জন করার পরিণাম কী হতে পারে সেই নিয়ে ভাবিত নন প্রতীক। তিনি স্পষ্টই জানান, নিজের পদবি পরিবর্তন কেরিয়ারে কী প্রভাব আনবে সেটা নিয়ে তিনি একেবারেই চিন্তিত নন। তবে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রতীকের স্ত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। 

খুব কম বয়সে প্রতীক তাঁর মা স্মিতা পাটিলকে হারিয়েছেন। এরপর বাবা রাজ বব্বরের কাছ থেকে পিতৃসুলভ ভালোবাসা কোনওদিনই পাননি। বরং অবজ্ঞাই পেয়ে এসেছেন। একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা এই কথা বারংবার বলে এসেছেন। জীবনের গতিপথে অনেক অন্ধকার রাস্তায় হেঁটেছেন, কিন্তু কখনওই পাশে পাননি বাবা রাজ বব্বরকে। তাই এ বার তাঁর পদবি ত্যাগ করলেন প্রতীক। বর্তমানে তাঁর পরিচয় ‘প্রতীক স্মিতা পাটিল’। অভিনেতার স্ত্রী প্রিয়া স্বামীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেও পরিবারের কোনও বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি নন। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রতীককে তাঁর বিয়েতে পরিবারের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রিয়া সেখানে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, না, একেবারেই না। আমরা এটা নিয়ে কথা বলব না। এটা আমাদের বলার মতো জায়গা নয়। এগুলো নিয়ে অনলাইনে কথা হবে, ইন্টারনেটে চর্চা হবে। এরপর সবাই অতীতের কিছু খবর হাতড়ে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চালাবে, মন্তব্য করবে। আর কেউ ভাবেও না সেটা একজনের বিশেষ দিনে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এটা নিয়ে কারোরই বলার কোনও অধিকার নেই। প্রতীক আর আমি যদি চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিই, সেটাকে সম্মান জানানো উচিত। আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না এবং বিস্তারিত জানাতে চাই না কারণ আমরা খুশি... সেখানে বদলানোর কিছু নেই। সেখানে কখনই কিছু ছিল না। সুতরাং, আমি বিভ্রান্ত হই যখন লোকেরা মন্তব্য করে, 'আপনি কারও সঙ্গে এটি করেছেন'। কিন্তু না, সেই পরিবারটি সেখানে ছিল না, সেই ব্যক্তি (রাজ বব্বরকে উল্লেখ করে) তাঁর জীবনে কখনও ছিল না। সুতরাং, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কেন ৩০ বছর পর এই প্রশ্নটি এখন আসছে। 

Advertisement

নিজের নাম পদবি বদল প্রসঙ্গে প্রতীক বলেন, আমি শুধু ভেবেছি কোন কাজটা আমার আত্মাকে আনন্দ দেবে। কিসে আমি ভাল থাকব, সেটা ভেবেছি। এই কাজটা আমার কেরিয়ারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না, অত সাতপাঁচ ভাবিনি। এর পরিণতি কী হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি কেবল চিন্তা করি যে এই নামটি শুনলে আমার কেমন অনুভূতি হয়। আমার মা (স্মিতা পাটিল), তাঁর নাম এবং তাঁর উত্তরাধিকারের সঙ্গে আমার সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণ ভাবে যুক্ত থাকা উচিত। আমার মনে হয় না অন্য কারও নাম সেই উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করতে পারে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement