সব্যসাচী চক্রবর্তীর স্ত্রী হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচয় বানিয়ে তুলেছেন অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। নাতি-নাতনি, ছেলে-বউ, স্বামী নিয়ে গোছানো সংসার মিঠুর। নিজের হাতেই সংসারকে গুছিয়ে রেখেছেন তিনি। ছেলে ও স্বামী সব্যসাচীকে নিয়ে সিদ্ধান্ত তিনিই নিয়ে থাকেন। দুই ছেলে গৌরব ও অর্জুন তাঁদের সংসার পেতেছেন যদিও আলাদা। মা-বাবার সঙ্গে তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। কোনও পারিবারিক অশান্তি বা বিবাদ এর নেপথ্যে নেই, বরং সংসারকে বেঁধে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছিলেন মিঠু।
সম্প্রতি অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক পডকাস্টে এসে মিঠু চক্রবর্তী জানিয়েছেন তিনি কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গৌরব ও অর্জুন দুই ছেলেকেই মিঠু পরামর্শ দিয়েছিলেন যে আলাদা থাকার সামর্থ্য থাকলে তবেই বিয়ে করা উচিত। অভিনেত্রী বলেন, ঘরভর্তি বাঙালি মায়েদের সামনে আমি যখন এই কথাটা একবার বলেছিলাম, তখন অনেকেই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। ওরা যখন বেশ ছোট, তবে বুঝতে শিখেছে, তখনই আমি বলেছিলাম, আগে দেখো, আলাদা থাকার ক্ষমতা রাখো কি না, তবেই বিয়ে করো।
মিঠু চক্রবর্তী এও বলেন, আমার শাশুড়ি মা বলতেন, তুমি এমন কেন বলো, তুমি আমি একসঙ্গেই ছিলাম। মাকে বলেছিলাম, তোমার আমার যুগটা বেরিয়ে গিয়েছে। আর আমি যে তোমার মতো ভাল শাশুড়ি হব, তারও কোনও গ্যারান্টি নেই। আমার মনে হতেই পারে, ওই দেখো, আমার ছেলেকে এমন করছে…। আমার ছেলেকে সময় মতো খেতে দিল না। এই ছোট্ট ছোট্ট ফ্ল্যাট, পাশের ঘরে শ্বশুর-শাশুড়ি ঝগড়া করছে, এঘরে সেটা শোনা যাচ্ছে, এঘরে ওদের অশান্তি হচ্ছে আমি শুনছি…। ওদের পার্টি করতে ইচ্ছে হবে, আমরা হয়তো বিরক্ত হবো। এসব নানান কিছু ভেবে আমি বলেছিলাম– যখন বুঝবে আলাদা থাকার ক্ষমতা আছে তখন বিয়ে করো। ওরা দুজনেই সেটা করেছে। রোজগার করতে শুরু করেছে, তারপর ভাবনা চিন্তা করেছে।
প্রসঙ্গত, মিঠু ও সব্যসাচীর ছেলে অর্জুন ও গৌরব ইন্ডাস্ট্রির দুই পরিচিত মুখ। ওয়েব সিরিজ থেকে সিনেমা দুটো মাধ্যমেই তাঁরা জমিয়ে অভিনয় করছেন। গৌরব বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী ঋদ্ধিমাকে। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ধীর। অপরদিকে, অর্জুন বিয়ে করেছেন তাঁর স্কুলের বান্ধবী শ্রীজাকে। তাঁদের একটি মেয়ে আছে, নাম অবন্তিকা। মা-বাবার সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক দারুণ। আলাদা থাকলেও ভালোবাসায় কোনও চিড় ধরেনি চক্রবর্তী পরিবারে।