Advertisement

Anamika Chakraborty: স্বামী উদয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, নিজেকে 'একা' বললেন অনামিকা, হলটা কী?

Anamika Chakraborty: টেলিভিশনের ভীষণ চেনা মুখ অনামিকা চক্রবর্তী। একাধিক সিরিয়ালে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। একটা সময় টিআরপিতে সাড়া জাগানো মেগা এখানে আকাশ নীল-এ নায়িকার চরিত্রে দর্শকেরা দেখেছে তাঁকে। কিন্তু তা বহু যুগ আগের কথা। এরপর তাঁকে পার্শ্বচরিত্রেই বেশি দেখা যেত।

উদয় ও অনামিকাউদয় ও অনামিকা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:44 AM IST
  • টেলিভিশনের ভীষণ চেনা মুখ অনামিকা চক্রবর্তী।

টেলিভিশনের ভীষণ চেনা মুখ অনামিকা চক্রবর্তী। একাধিক সিরিয়ালে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। একটা সময় টিআরপিতে সাড়া জাগানো মেগা এখানে আকাশ নীল-এ নায়িকার চরিত্রে দর্শকেরা দেখেছে তাঁকে। কিন্তু তা বহু যুগ আগের কথা। এরপর তাঁকে পার্শ্বচরিত্রেই বেশি দেখা যেত। কিন্তু মাঝে একেবারেই গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন ছোটপর্দা থেকে। ওজনও বেড়েছে। ছিল না কাজও। অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তীকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকে। তারপর আবার বিরতি। ফের কামব্যাক করেছিলেন ফুলকি সিরিয়ালে। কিন্তু সেই সিরিয়ালও শেষ হতে চলেছে। আর এইসবের মাঝে অনামিকা বেশ কিছু জিনিস উপলব্ধি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট করতেই তাঁকে নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হল। 

২০২৫-এর শেষ মাসে দাঁড়িয়ে সকলে। বছরটা কমবেশি সবারই ভাল-মন্দতে কেটেছে। অনামিকার কাছেও এই বছর নানান ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে বা কিছু জিনিস উপলব্ধি করতেও শিখিয়েছে। নিজের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, এই বছরটি আমার জন্য এক রোলারকোস্টার। যদিও, সত্যি বলতে এমন জার্নি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। হয়তো ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু আমার কোনও অনুশোচনা নেই। আমি যে পথ বেছে নিয়েছি, তা আমি নিজের জন্যই বেছেছি। কেউ আমার জন্য আমার পথ নির্ধারণ করে দেয়নি। আমি আমার প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে অটল। অবশেষে ২৯ বছর বয়সে আমি যা শিখেছি তা হলো, প্রকৃত সুখ সেই মানুষদের কাছ থেকে আসে যারা আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে, কারও জীবনে আনন্দ এনে, সহানুভূতি দেখানোর মাধ্যমে এবং ভালোবাসার মাধ্যমে। এখন আমার কাছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই বছরটা অনামিকাকে বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলেছিল। আবার নতুন শিক্ষাও পেয়েছেন এই বছর থেকেই। তিনি বুঝেছেন আসলে তিনি কতটা একা। অনামিকার ভাষায়, কেউ আমার পাশে সে ভাবে থাকবে না, যেমনটা হয়তো আমি আশা করেছিলাম। জীবন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আর এই সবকিছু থেকে আমি বুঝতে পেরেছি যে এই জীবনে আমার আসল উদ্দেশ্য হলো ভালো মানুষ হওয়া। যাঁরা আমার পাশে থাকে তাঁদের উৎসাহিত করা এবং যাঁরা আমার পাশে থাকবে না তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। আত্মনির্ভর হওয়া জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন অনামিকা। তবে একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, জীবনের কিছু ক্ষেত্রে ভালোবাসা অনেক বাধাকে ছাপিয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘মানসিক নির্ভরতা দুর্বলতা নয়, এটা মানবিক। তুমি নিজের টাকা, নিজের সম্পত্তি, নিজের জীবন তৈরি করতে পারো। কিন্তু যখন ভালোবাসা এবং আবেগের প্রশ্ন ওঠে, তখন কারও উপর নির্ভরশীল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আর যদি তুমি কারও উপর আবেগতাড়িত হয়ে যদি নির্ভর করতে না পারো, তা হলে তাকে ছেড়ে দাও। সে বন্ধু হোক, প্রেমিক হোক, এমনকী পরিবার হোক। সত্যিকারের মানুষই থেকে যায়। মিথ্যা সম্পর্ক ভেঙে যায়।

Advertisement

অনামিকার হঠাৎ করে এই ধরনের লেখা এবং উপলব্ধি দেখে নেটিজেনদের একাংশের প্রশ্ন উদয় প্রতাপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক আছে তো? কারণ অনামিকার প্রতিটি লেখার ছত্রে ছত্রে শুধুই নিজেকে উপলব্ধি করার বিষয় ভীষণভাবে স্পষ্ট। সেখানে কোথাও তাঁর স্বামী উদয়ের কথা উল্লেখ নেই। হিয়া চরিত্রে অভিনয়ের পরে সে ভাবে বড় কোনও চরিত্রে দেখা যায়নি তাঁকে। অপরদিকে, তাঁর স্বামী উদয় প্রতাপের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অথচ ১১ বছর কাজ করার পরও অনামিকাকে এখনও কেউ সেভাবে ডাকে না। আর তা নিয়ে নিজের অভিমানের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। অবসর সময় কাটে পোষ্যের সঙ্গে। তাকে নিয়েই ভাল আছেন অনামিকা। 

Read more!
Advertisement
Advertisement