সম্প্রতি দাদার বিয়ে দিয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। একটু বেশি বয়সেই অভিনেত্রীর দাদা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। আর বিয়ের যাবতীয় কাজ করতে দেখা গিয়েছে অপরাজিতাকে। এমনিতে অভিনয়ের পাশাপাশি ঘর-সংসারের কাজে দারুণ পটু অপরাজিতা। শ্বশুরবাড়ির চোখের মণি বলা চলে। আর দাদার বিয়ে মিটতেই একেবারে চেনা ছন্দে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা দেখেও নেটিজেনদের চক্ষু চড়কগাছ।
এমনিতে সাধারণভাবে লিপ কিস প্রেমিক, স্বামী অথবা সন্তান কিংবা খুব কাছের মানুষকে করতে দেখা যায়। তবে অপরাজিতা হাঁটেন স্রোতের বিপরীতে। আর তাই তো শাশুড়ির ঠোঁটে কিস দিয়ে কাজে বেরোলেন অভিনেত্রী। শনিবার থেকে মানসী সিমহার নতুন ছবি পাঁচ নম্বর স্বপ্নময় লেন-এর শ্যুটিং শুরু করেন তিনি। আর সেই শ্যুটিংয়ে যাওয়ার আগে শাশুড়ির ঠোঁটে স্নেহচুম্বন দেন অপরাজিতা। সাদা ওয়ানপিসে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। বেহালার বাড়ি থেকেই শ্যুটিংয়ে রওনা দিলেন।
এই ছবির ক্যাপশনে অপরাজিতা লেখেন, ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রি স্ট্রাইকের পর আজ আমার প্রথম শুটিং। আজকেই শুরু হচ্ছে মানসী সিনহা পরিচালিত ছবি পাঁচ নম্বর স্বপ্নময় লেন। এই ছবির শুটিং আছে আজকে। আশা করি এটা আরেকটা স্বপ্নপূরণের ছবি হবে।’ সম্প্রতি অপরাজিতা তাঁর মায়ের শেষইচ্ছা পূরণ করেছেন। দাদার বিয়ে দিয়েছেন মায়ের পছন্দ করা পাত্রীর সঙ্গে। দাদা-বৌদিকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানো থেকে শুরু করে বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদার বিয়ের ছবি পোস্ট করে মাকে খোলা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে তাঁর ছেলে এখন আর একা নয়।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে টলিপাড়ার টেকনিশিয়ান অতনু হাজরাকে বিয়ে করেছিলেন অপরাজিতা। অনেকেই জানলে অবাক হবেন, মাত্র এক মাসের আলাপে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অপরাজিতা। তবে সেই সিদ্ধান্ত হবু বরকে দেখে নয়, তাঁর মা-কে দেখে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শাশুড়িকে এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি তড়িঘড়ি বিয়ে সেরে নিয়েছিলেন। তবে এত বছরের বিবাহিত জীবনে নিঃসন্তান অপরাজিতা-অতনু। তবে তা নিয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই জল থই থই ভালোবাসা-র কোজাগরীর। অভিনয় ও সংসার দুটোই দক্ষ হাতে সামলাতে জানেন অপরাজিতা। তাঁর বাড়ির লক্ষ্মীপুজো তো টলিউডে দারুণ জনপ্রিয়। সব মিলিয়ে অপরাজিতার জীবন বেশ সুন্দর গতিতেই এগোচ্ছে।