Advertisement

Pallavi Dey Death Case:'হতাশায় ভুগছিল পল্লবী,' রাতভর পুলিশি জেরায় বারবার দাবি সাগ্নিকের, উঠল সম্পত্তি প্রসঙ্গও

প্রাথমিক তদন্তে, অভিনেত্রী পল্লবী দে’র আত্মহত্যার ত্বত্ত্ব প্রকাশ্যে এলেও টেলি অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দে পরিবারের সদস্যরা। আত্মহত্যা নয় তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। । আই পল্লবী দে-র পরিবারের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে থানায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হল।

হাতাশায় ভুগছিলেন পল্লবী, দাবি লিভ-ইন সঙ্গীরহাতাশায় ভুগছিলেন পল্লবী, দাবি লিভ-ইন সঙ্গীর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 May 2022,
  • अपडेटेड 9:26 AM IST
  • সাগ্নিক চক্রবর্তীকে থানায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ
  • গড়ফা থানায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ
  • উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার আধিকারীক অতুল ভি


প্রাথমিক তদন্তে, অভিনেত্রী  পল্লবী দে’র আত্মহত্যার ত্বত্ত্ব প্রকাশ্যে এলেও টেলি অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দে পরিবারের সদস্যরা।  আত্মহত্যা নয় তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। 'পল্লবী আত্মহত্যা করার মেয়ে নয়',রবিবার সকাল থেকে এই কথা সমানে বলে চলেছে পরিবার,আত্মীয় স্বজন। সোমবারই পল্লবীর অন্ত্যোষ্টীর পরেই গড়ফা থানায় অভিনেত্রীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক এবং তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পল্লবীর মা–বাবা। আই পল্লবী দে-র পরিবারের সেই  অভিযোগের ভিত্তিতে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে  থানায় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হল।

জানা যাচ্ছে, মৃত অভিনেত্রী পল্লবী দে-র পরিবারের  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে   লিভ- ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী-কে গড়ফা থানায়  রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময়, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত গড়ফা থানায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার আধিকারীক অতুল ভি। এখনও পর্যন্ত গড়ফা থানাতেই রয়েছেন সাগ্নিক। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি অভিনেত্রী পল্লবী ও সাগ্নিক  কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। সেইসব বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে সাগ্নিকের কাছে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

 

আরও পড়ুন

 

পল্লবী-সাগ্নিকের ফ্ল্যাট থেকে মিলল গাঁজা
যত সময় গড়াচ্ছে ততই যেন অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু রহস্য নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পল্লবী আর সাগ্নিকের ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে হুক্কা, গাঁজা-সহ নেশার জিনিসপত্র। মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই গড়ফা থানায় পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিক ও বান্ধবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে দে পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিককে জেরা করার পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়েছে গড়ফার সেই ফ্ল্যাটে। সঙ্গে পল্লবীর মোবাইলও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। আর তাতেই বেশ কিছু তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। মাসখআনেক আগে থেকেই এখানে বিবাহিত পরিচয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। সঙ্গে তদন্তে জানা গিয়েছে মারা যআওয়ার আগে পল্লবী শেষ ফোন করেছিল বাড়ির পরিচারিকাকে। যদিও, তাঁদের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল, তা বিশদে জানা যায়নি। পল্লবীর পরিবার এর আগেই জানিয়েছিল ওই পরিচারিকার খোঁজ দিয়েছিলেন অভিনত্রীর মাসি। এমনকী, সেই মেয়েটি পল্লবীর মাসিকে বহুবার বলেওছে, ‘দাদা-বউদি (বিবাহিত জানত) খুব ঝগড়া করে।’

Advertisement

সম্পত্তি কেনাকাটা নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন?
পুলিশ ইতিমধ্যেই পল্লবীর সঙ্গী সাগ্নিককে জেরা করা শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর ফোন, ল্যাপটপও। অভিনেত্রীর সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, সাগ্নিকের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া- অশান্তি চরমে উঠত পল্লবীর । এর পাশাপাশি ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কিনতে পল্লবীর থেকে টাকা নিয়েছিল সাগ্নিক বলে দাবি পল্লবীর পরিবারের। শুধু তাই নয়,একাধিক ব্যাঙ্কে পল্লবী-সাগ্নিকের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট। ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে। অভিনেত্রীর পরিবারের তরফে আরও দাবি, নিউটাউনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য পল্লবীর থেক টাকা নিলেও সেই সম্পত্তির মালিকানায় নাম ছিল না অভিনেত্রীর। পরিবর্তে, সেই ফ্ল্যাটের মালিক হিসেবে নাম রয়েছে, সাগ্নিক ও তাঁর বাবার। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী-প্রেমিকার থেকে টাকা নিয়ে সাগ্নিক একটি গাড়ি কিনেছিলেন। পল্লবীর মৃত্যুর পরই নাকি তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর একাধিক ব্যাঙ্কে জয়েন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে ১৫ লক্ষেরও ওপর টাকা রয়েছে বলে, এক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান অভিনেত্রীর মাসি। গত কয়েকমাস ধরে পল্লবী আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন বলে দাবি তাঁর মাসির। এখবর নাকি অভিনেত্রীর পরিচারিকাই তাঁকে জানিয়েছিলেন।

 

 

লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিকের দাবি
পল্লবী দে-র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রবিবার থেকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই সাগ্নিক পুলিশকে জানিয়েছেন, হাতে কাজ না থাকায় বেশ কয়েক দিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন পল্লবী। এরই সঙ্গে অভিনেত্রীর মাথায় ঋণ শোধের চাপও ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগ্নিক জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই হাতে নতুন কোনও কাজ আসছিল না পল্লবীর। তার উপর বাজারে দেনা। কয়েক দিন আগেই ক্রেডিট কার্ডে সোনার গয়না কিনেছিলেন অভিনেত্রী। পেশা এবং আর্থিক সমস্যা— সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। যদিও পল্লবীর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পেশাগত দিক দিয়ে তাঁর কোনও সমস্যাই ছিল না। হাতে পর পর কাজও আসছিল।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement