মাত্র ৪২ বছর বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল 'কাঁটা লগা গার্ল' শেফালি জারিওয়ালার। শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শেফালির স্বামী পরাগ তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার মুম্বইতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেফালির মৃত্যুতে ফের শোকের ছায়া নেমে এসেছে হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে জানেন কি অভিনেত্রীর মৃত্যুর অনেক আগেই তাঁকে আভাস দেওয়া হয়েছিল আকস্মিক মৃত্যুর। সম্প্রতি পরেশ ছাবড়ার একটি পুরনো পডকাস্টের ভিডিও এই মুহূর্তে ভীষণভাবে ভাইরাল সোশ্যাল দুনিয়ায়। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন কাঁটা লগা গার্ল শেফালি। সেখানেই পরেশ তাঁর জন্মছক দেখে অভিনেত্রীকে আকস্মিক মৃত্যুর আভাস দিয়েছিলেন।
সেই পডকাস্টের ভিডিওতে পরেশকে বলতে শোনা গিয়েছে, আপনার জন্মছকের অষ্টম ঘরে চন্দ্র, বুধ ও কেতু বসে রয়েছে। চন্দ্র ও কেতুর একসঙ্গে থাকা খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। অষ্টম ঘর ইঙ্গিত দেয় কোনও ক্ষতি, আকস্মিক মৃত্যু, খ্যাতি, গোপন রহস্য, তন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। আপনার জন্য চন্দ্র ও কেতু খারাপ তো বটেই সেই সঙ্গে বুধ থাকলে তা হলে আকস্মিক মৃত্যু, ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরেশ আরও বলেন, চন্দ্র ও কেতুর একসঙ্গে থাকা আপনার জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
ওই পডকাস্টে শেফালিকে পরেশ জানিয়েছিলেন যে এই গ্রহদের একত্রিত হওয়া উদ্বেগ ও সম্ভাব্য স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই পডকাস্টেই শেফালি জানিয়েছিলেন যে তিনি মৃগী রোগের সঙ্গে কীভাবে লড়াই করেছেন ১৫ বছর বয়স থেকেই। তবে পরেশের সব কথা মন দিয়ে শেফালি শুনলেও তিনি আদপেও কতটা জ্যোতিষে বিশ্বাসী ছিলেন তা খোলসা করে বলেননি। শুক্রবার মাঝরাতে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, চেহারায় জেল্লা ধরে রাখতে তিনিও নাকি বিশেষ চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। বছর খানেক ধরেই নাকি অভিনেত্রী একটি বিশেষ ধরনের ‘অ্যান্টি অ্যাজিং’ চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, বিগত পাঁচ-ছয় বছর ধরে শেফালি যে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন, সেটা বার্ধক্য পিছিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ট্রিটমেন্টের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
শেফালি ৩৫টি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলেন সব মিলিয়ে। ২০০৪ সালেই বলিউডে ডেবিউ করেন ‘মুঝসে শাদি করোগে’ ছবিতে। তবে ক্যামিও-র চরিত্রে। যদিও তাঁর কাঁটা লগা মিউজিক ভিডিও রাতারাতি সেনসেশন তৈরি করে। একলাফে জনপ্রিয়তা লাভ করেন অভিনেত্রী। তবে খুব বেশি বছর তিনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেননি তাঁর এই মৃগী রোগের কারণেই।