বিয়ের আটমাসের মাথাতেই সুখবর শোনালেন বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। দীপাবলির পরের দিনই তাঁদের ঘর আলো করে এসেছে লক্ষ্মী। কন্যাসন্তানের মা-বাবা হলেন শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। স্বাভাবিকভাবেই দুই পরিবারেই খুশির আবহ। মা-মেয়ে এখন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকেই মা হওয়ার অনুভূতি শেয়ার করে নিলেন শ্রীময়ী bangla.aajtak.in-এর সঙ্গে।
শ্রীময়ী বলেন, 'অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। আমি ভাবতেই পারছি না যে আমি একটা প্রাণকে সৃষ্টি করলাম। যতবার মেয়েকে আনছে আমি ততবারই অবাক হয়ে দেখছি। কাঞ্চনও বিশ্বাস করতে পারছে না। খালি বলছে এই তো তোর সঙ্গে আলাপ হল, সেই ক্লাস নাইনে পড়তিস আর আজকে তুই মা হচ্ছিস।' অভিনেত্রী যে দারুণ খুশি তা তাঁর গলার স্বরেই স্পষ্ট। তিনি জানান যে শরীরে সন্তান থাকাকালীন একটা অনুভূতি হয়, শারীরিক কষ্ট হয়, হরমোনাল পরিবর্তন আসে। তবে শনিবার ওটি রুমে যাওয়ার আগে শ্রীময়ী বেশ ভয়েই ছিলেন বলেই জানান। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমি তো থরথর করে কাঁপছিলাম। কাঞ্চন বসেছিল আমায় জড়িয়ে মাথার কাছে। আর যখন বেবি বের হল কাঞ্চনের যে কি আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।'
মেয়েকে প্রথমবার কোলে নিয়ে কেমন অনুভূতি? শ্রীময়ী বলেন, 'একটা পুরো পুতুল, আমি এখনও বোঝাতে পারছি না। তুলোর মতো একটা কিছু। আমি তো ব্রেস্ট ফিড করাতেও ভয় পাচ্ছি।' মেয়ের নাম ইতিমধ্যেই কাঞ্চন-শ্রীময়ী সকলকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের মেয়ের নাম রাখা হয়েছে কৃষভি। শ্রীময়ী জানান, 'মেয়ের কৃষভি নামটা আমি আর কাঞ্চন মিলিতভাবে দিয়েছি। আমি আর কাঞ্চন দুজনেই কষ্ণের খুব ভক্ত আর কৃষভি কৃষ্ণেরই আর এক নাম। যার অর্থ শক্তি ও বিরল।' ইতিমধ্যেই শ্রীময়ী তাঁর প্রেগন্যান্ট থাকাকালীন ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন। অভিনেত্রীর চোখে মুখে মাতৃত্বের লাবণ্য। ছবির ক্যাপশনে শ্রীময়ী লেখেন, 'এ এক দীর্ঘ সফর। টানা ৯ মাসের সফর। বহু আবেগের মুহূর্ত রয়েছে। শারীরিক দিক থেকেও ওঠাপড়া লেগে থেকেছে। আমার মধ্যে এক ছোট্ট প্রাণ নড়েচড়ে উঠত। এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।'
শ্রীময়ী জানান যে তিনি প্রথমে বুঝতে পারেনি যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পরে জানতে পেরে কাঞ্চন ও শ্রীময়ী দুজনেই দারুণ খুশি হন। তবে এই ন'মাসের জার্নিটাকে খুব মিস করবেন শ্রীময়ী। ঘরে লক্ষ্মী আসায় প্রচণ্ড খুশি কাঞ্চন। অভিনেতার স্ত্রী বলেন, 'তবে ডেলিভারির দিন খুব টেনশনে ছিল কাঞ্চন, ভয়ে ওটি রুমে যাচ্ছিল না। ডাক্তারবাবু জোর করে ঢোকায়। কিন্তু বেবি হওয়ার পর কাঞ্চন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। আমাদের দুজনেরই ছেলে বা মেয়ে নিয়ে কোনও ছুতমার্গ নেই। কিন্তু কাঞ্চন যে মেয়ে হওয়াতে এত খুশি যে কী বলব। মায়ের চেয়ে ওর আনন্দটাই বেশি।' ইতিমধ্যেই কাঞ্চন তাঁর মেয়ের জন্য শপিং সেরে ফেলেছেন। একে তো নতুন মা তারওপর সংসারও নতুন, উপরন্তু শ্যুটিংয়ের চাপ, কীভাবে সামলাবেন? শ্রীময়ী এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি আমার প্রথম প্রেগন্যান্সির খবর যে প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি তাদের জানাই। আমাকে তারা খুবই সাহায্য করেছিল। এরপর আমি সাতমাস টানা কাজ করি। কিন্তু তারপর শরীর সঙ্গ না দেওয়ায় আমি একেবারে বিশ্রামে চলে যাই। এখন কিছুমাস আমি বিশ্রামেই থাকব, মেয়ে বড় হয়ে উঠবে এটা মিস করতে চাই না। তাই কয়েক মাস কাজ থেকে বিরতি নিয়েছি।'