প্রতি বছরের মতো এই বছরের পুজোতে আড়ম্বর ছিল একেবারেই কম। তবে মায়ের পুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি সুদীপা ও অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। বাংলাদেশে হওয়া এই বাড়ির পুজো গত ১৩ বছর ধরে খোদ কলকাতার বালিগঞ্জে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে হয়ে আসছে। তাই মায়ের বিদায় বেলাতেও ঠিক যেমনটা প্রতি বছর হয় তেমনটাই হল চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। কোমরে চোট নিয়েই দেবীকে বরণ করলেন সুদীপা। চোখের জলে মেয়ে উমা সুদীপা-অগ্নিদেবের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসের পথে রওনা দিলেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে সুদীপা জানান যে পুজোর সময়ই আচমকা কোমরে ব্যথা। উঠতেই পারছিলেন না তিনি। পরে ইঞ্জেকশন নিয়ে, বিশ্রাম করার পর সুদীপা মাকে বরণ করেন। এদিন এই বাড়ির মহিলা সদস্যদের পরনে ছিল দুর্গার মুখ আঁকা শাড়ি। সেই শাড়ি পরেই সধবারা এদিন মাকে বরণ করলেন। চোখে জল নিয়েই অগ্নিদেব মাকে আবার আসার আমন্ত্রণ জানালেন। চট্টোপাধ্যায় পরিারের নিয়ম অনুযায়ী দশমীর দিন মাকে পরানো হয় নতুন শাড়ি, তবে সেটা একেবারেই সাদামাটা তাঁতের শাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুদীপা মাকে বরণ করার সেই ছবি পোস্ট করেছেন।
সুদীপার পুজো দেখতে বরাবরই তাঁর বাড়িতে তারকা সমাবেশ হয়। তবে আরজি কর-কাণ্ডের জন্য এই বছর সেভাবে পুজোর চমক নেই। তবে এসেছিলেন অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। তবে দেখা মেলেনি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার। সুদীপা পুজোর আচার-অনুষ্ঠানে কোনও ত্রুটি রাখেননি। মাকে বরণের পর এবার সিঁদুর খেলার পালা। অগ্নিদেবের হাতে সিঁদুর পরে এ বছরের মতো সিঁদুরখেলা সাঙ্গ সুদীপার। অগ্নিদেবের সঙ্গে নিলেন সেলফিও। আবার একটা বছর মায়ের আসার অপেক্ষা।
সুদীপার বাড়ির মা বিদায়ের আগে পান্তাভাত, ইলিশ মাছ ভাজা ও শাপলার টক খেয়ে রওনা দেন। এরপর সুদীপার বাড়িতে আর ইলিশ ঢোকে না। আবার সরস্বতী পুজো থেকে ইলিশ খাওয়া শুরু হয় এই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। প্রতি বছরই পুজোর ভোগের দায়িত্বে থাকেন সুদীপা। মাখা পোলাও, মাছ-মাংস সহযোগে এই বাড়ির মেয়েকে ভোগ দেওয়া হয়। আগেই সুদীপা জানিয়েছিলেন যে তাঁর মন ভাল নেই এই বছর। একে তো মায়ের মৃত্যুশোক তারওপর আরজি কর-কাণ্ডের পর পুজোতে সেইরকম জৌলুস ছিল না। তবে যাঁরা পুজো দেখতে এসেছেন তাঁদের আপ্যায়নের ত্রুটি রাখেননি সুদীপা।