কোনও ট্রোল-কটাক্ষ মুখ বুজে সহ্য করার পাত্রী নন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সুযোগ বুঝে সব কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেন অভিনেত্রী। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যেই তাঁকে তাঁর মেয়ে অন্বেষাকে নিয়ে ছবি-ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়। সম্প্রতি মেয়েকে নিয়ে এক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করতেই ট্রোলের মুখে পড়তে হল স্বস্তিকাকে। যার মোক্ষম জবাব দিতে ভুললেন না অভিনেত্রী।
মেয়ে অন্বেষা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। সেখান থেকেই মাঝে মধ্যে তাঁকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়। আর উইকেন্ডে চুটিয়ে ছুটি উপভোগ করছেন স্বস্তিকা-কন্যা। আর মেয়ের ছবি দেখে নিজের শহর থেকেই গাড়িতে বসে সেলফি পোস্ট করলেন স্বস্তিকা। মেয়ে অন্বেষার ঘুরতে যাওয়ার ছবি ও নিজের মিষ্টি একটা সেলফি পোস্ট করে স্বস্তিকা লিখলেন, যে যেখানে থাকেন, সেটাই তাঁর দেশ। মাতৃভূমি মাতৃভাষার মতোই সবচেয়ে সুন্দর। সবচেয়ে প্রিয়। সবচেয়ে প্রাণের। কিন্তু দেশ যেখানে থাকি সেটাই। যাক এই নিয়ে তর্ক পরে হবে। মেয়ে নিজের দেশে এদিক ওদিক যাচ্ছে, আর ফটো পাঠাচ্ছে।
এরপর খানিকটা আক্ষেপের সুরেই স্বস্তিকা বলেন, আমার বয়স কম হলে আমিও কেন সেইসব ঘুরে দেখতে পাচ্ছি না বলে গাল ভারী করতাম। এখন যেখানে আছি সেখান থেকেই হাসিমুখে ছবি তুলি। আমিও আমার দেশেই, গাড়ি করে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় কাজ করে বেড়াচ্ছি। যেদিন মেয়ের সঙ্গে আবার দেখা হবে সেদিন আমার ছুটি হবে। মা বলত-এমন দিন আসবে দেখবি পায়ের তলায় চাকা। সেই কথাই ফলল, টোটো কোম্পানি হয়ে খালি হিল্লি দিল্লি করে বেড়াচ্ছি। আর বুঝলাম গাড়িতে তোলা নিজস্বীটাই বেস্ট। ওটাই পাঠাই।
আর এই পোস্টের পরই জনৈক নেটিজেন স্বস্তিকার পোস্টে মন্তব্য করেন 'বাংলাদেশে গেছে কি?' এই মন্তব্যে সেই নেটিজেনকে ধুয়ে দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি বলেন, 'আমি গেছি। আবার যাব। যার যেখানে দরকার সেখানেই যাবে। আপনার মতে আমি কেন কেউই কোথাও যাবে বলে মনে হয় না। আপনি গিয়ে ঘুরে আসুন।' আবার আরও এক নেটিজেন লেখেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে কত লেখালেখি করতেন, টাইমলাইন ভরে থাকত ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লব ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ। এখন আর কিছু লেখেন না কেন? খরচা পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে বুঝি?'এই ট্রোলের জবাবে সেই নেটিজেনকে ব্যাঙ্গ করে স্বস্তিকা সম্মতি জানিয়ে লেখেন হ্যাঁ।
পড়াশোনা থেকে কাজ সবটাই বিদেশে স্বস্তিকা কন্যা অন্বেষার। মাঝে মধ্যেই অভিনেত্রীকে মেয়ের কাছে চলে যেতে দেখা যায়। মেয়ে খুব অল্প বয়সেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। মেয়ের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। সিঙ্গল মাদার হয়েই অন্বেষাকে মানুষ করেছেন স্বস্তিকা। মেয়েই অভিনেত্রীর সুখ-দুঃখের বন্ধু। মেয়ে বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরলে পুরো সময়টাই স্বস্তিকা তাঁকে দিয়ে থাকেন।