যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে টলিউডের পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পরিচালককে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখ অভিনেত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে অরিন্দম শীলকে মহিলা কমিশনে ডেকে পাঠানো হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে ই-মেল মারফৎ পরিচালককে সাসপেন্ড হওয়ার নোটিস পাঠানো হয়। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগকারিনী নাকি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের কাছে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগকারিনী শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে সোমবার মহিলা কমিশনে এই মামলার শুনানি ছিল বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান এই শুনানিতে ২ জন প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে একজন পরিচালক অরিন্দম শীল ওই অভিনেত্রীকে চুমু খাওয়ার পর তিনি যে অস্বস্তিতে ছিলেন তা দেখেছেন। লীনা গঙ্গো পাধ্যায় এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে নিয়ে সোমবার এই মামলার শুনানি হয়। তবে শুনানিতে কী হয়েছে তা একেবারে গোপন রাখার নিয়ম রয়েছে। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর অনুযায়ী, একটি খুনির সন্ধানে মিতিন-এর শ্যুটিংয়ের সময়ই সেই প্রত্যক্ষদর্শীর সহকারি ঘটনাটি লক্ষ্য করেন এবং সেটা তাঁকে জানান। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, সেই অভিনেত্রী এই ঘটনার পর খুবই অস্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই পরিচালক ওই অভিনেত্রীর কাছে গিয়ে তাঁকে আবার শ্যুটিং শুরু করার জন্য উৎসাহিত করেন। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী এও দেখেন যে পরিচালক অভিনেত্রীকে চুমু খেয়েছেন। পরিচালক হয়তো সেই মুহূর্তে ঘটনার গভীরতা বুঝতে পারেননি। তবে পরিচালক অরিন্দম শীল এটা স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনার ফলে ওই অভিনেত্রী হয়তো একটু মনমরা হয়ে থাকতে পারে।
অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে ওঠা এই যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রভাব পড়তে চলেছে তাঁর আগামী সিনেমাগুলিতে। পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে একটি খুনির সন্ধানে মিতিন, একটি ওয়েব সিরিজ ও সাহেব বিবি জোকার, ইস্কাবনের বিবি। এই ঘটনার ফলে কালীপুজোর সময় পরিচালকের ছবি মুক্তির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে, বলে জানিয়েছেন ক্যামেলিয়া গ্রুপের চেয়্যারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীল রতন দত্ত। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ওয়েব সিরিজ মুক্তির আর ৩দিন বাকি আর এই সময় এই ধরনের ঘটনা আর্থিকভাবে খুব প্রভাব ফেলবে প্রযোজনা সংস্থার ওপর। এপ্রিল মাসে ঘটেছিল এই ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। তবে ক্যামেলিয়া প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পরিচালকের জন্য কোনও ধরনের প্রভাব প্রযোজনা সংস্থার ওপর তারা পড়তে দেব না।