সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনায় শুক্রবার রাতে জেলে ছিলেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। শনিবার সকালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। সূত্রের খবর, হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ার পর পিছনের গেট দিয়ে জেল থেকে বের হন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জামিন পেলেও তাঁকে রাতটা জেলেই কাটাতে হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। পরে, তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁকে ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে।
‘অবৈধ আটক, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
অভিনেতার আইনজীবী অশোক রেড্ডি জানিয়েছেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেও আল্লু অর্জুনকে জেল থেকে ছাড়া হয়নি। এটি অবৈধ আটক। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। তবে এখন তিনি মুক্ত।'
রিপোর্ট অনুযায়ী, জামিনের কাগজপত্র আপলোড করতে দেরি হওয়ার কারণেই তিনি শুক্রবার রাত জেলে কাটাতে বাধ্য হন।
অভিনেতার বাড়ির সামনে কড়া নিরাপত্তা
শনিবার ভোরে খবর পাওয়া যায় যে, সকাল ৭-৮ টার মধ্যে চাঞ্চলগুডা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অভিনেতা মুক্তি পাবেন। এরপরই তাঁর বাড়ির সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
সন্ধ্যা থিয়েটারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
গত ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্দ্য থিয়েটারে 'পুষ্পা ২: দ্য রুল'-এর প্রিমিয়ারের সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাজার হাজার ভক্ত আল্লু অর্জুনকে এক ঝলক দেখার জন্য ভিড় জমান। সেখানেই ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে এক ৩৫ বছরের মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর আট বছরের ছেলে গুরুতর আহত হয়।
আল্লু অর্জুনের উপর আইনি পদক্ষেপের কারণ কী?
ঘটনার পর মহিলার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তাঁর সিকিউরিটি টিম এবং থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-র বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে।
এর ভিত্তিতেই আল্লু অর্জুনকে চিক্কাডপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নমপল্লি আদালতে হাজির করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
আল্লু অর্জুন তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন এবং জামিন চান। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে জানায়, অভিনেতার নাগরিক অধিকার রক্ষা করা প্রয়োজন। বিচারপতি জুভ্বাদি শ্রীদেবী পর্যবেক্ষণ করেন যে, প্রিমিয়ারে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, আল্লু অর্জুনকে সরাসরি দায়ী করা যায় না। অভিনেতার আইনজীবী জানান, আল্লু অর্জুন যে সেখানে যাচ্ছেন, তা স্থানীয় পুলিশ জানত। থিয়েটার কর্তৃপক্ষও জানত। কেউ তাঁকে বারণ করেননি। তাছাড়া ঘটনার সময় তিনি দুইতলায় ছিলেন। আর দুর্ঘটনা ঘটেছে দুইতলায়। তাই তাঁকে সরাসরি দায়ী করা যায় না বলে জানান আল্লু অর্জুনের আইনজীবী।