বড়দিনের আগেই বাংলা সিনেমা দর্শকদের জন্য উপহার নিয়ে হাজির। গত ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে চার-চারটে বাংলা ছবি। ‘খাদান’, ‘সন্তান’, ‘চালচিত্র’, ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। যদিও জোর টক্কর চলছে খাদান ও সন্তান-এর মধ্যেই। খাদান মুক্তির দুদিন আগে হলে শো পাওয়া নিয়ে দেব প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও এই ছবির সাফল্যে অভিনেতা রীতিমতো আপ্লুত। অপরদিকে, রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত সন্তান দক্ষিণ কলকাতায় কোনও সিঙ্গল স্ক্রিন পাইনি। তবে এই ছবিও দর্শকদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। দর্শকেরা চোখে জল নিয়ে হল থেকে বেড়িয়েছেন। যদিও খাদান ঝড়ে কাবু গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। আর এরকম পরিস্থিতিতে নাম না করে দেব অনুরাগীদের বিদ্রুপ করতে ছাড়লেন না ঋত্বিক চক্রবর্তী। আর দেব-ঋত্ত্বিকের এই তরজায় দেবের পাশে দাঁড়ালেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত।
তিন চক্রবর্তীর সন্তান ছবি সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত তবে হলে শো সংখ্যা সীমিত হওয়ায় ব্যবসায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে এসভিএফের এই সিনেমা। অপরদিকে বাংলাজুড়ে খাদান দারুণ ব্যবসা করেছে। দেব নিজেও রবিবার এই নিয়ে দর্শকদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে বাংলা কর্মাশিয়াল ছবির দিন আবার ফিরে এসেছে। আর তারপরই অভিনেতা ঋত্বিকের বাঁকা কটাক্ষ, আর সেটা যে দেবকে লক্ষ্য করেই তা বুঝতে কারোর বাকি নেই।
ঋত্বিক কারোর নাম না করে নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, চা দোকানের লোকটাকে এখুনি বলতে শুনলাম- ‘সোশ্যাল ডিলেমায় দেখিয়েছিল কিছু ছিঁচকে কিস্যু না বুঝে সিনেমা বাণিজ্য কমার্স নিয়ে নিজদের গ্যাদগ্যাদে জ্ঞান বিলিয়ে দেবে অকাতরে আর কত সহজেই প্রমাণ করবে শিরায় শিরায় রক্ত মাথায় কিন্তু গত্ত!’ আমিও ট্রেন্ড অনুযায়ী না বুঝেই শেয়ার করলাম কথাটা। এদিকে চারটে ভিন্ন স্বাদের জমজমাট বাংলা ছবি চলছে। আপনার পছন্দ মতো হলে গিয়ে দেখুন। দেবের নামোল্লেখ না করলেও এই পোস্ট যে তাঁরই অনুরাগীদের উদ্দেশে, তা বুঝতে আর দেরি হয়নি কারও। অতঃপর কোমর বেঁধে একযোগে ঋত্বিককে পালটা ‘খাদান’ দেখার পরামর্শ দিলেন তাঁরা।
অন্যদিকে ঋত্বিকের এই পোস্টের পর দেবের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। যে পোস্ট নিয়ে সোশাল মিডিয়া তোলপাড়! নজর এড়ায়নি বিরসারও। অতঃপর ফেসবুকেই নাম না করে তাঁর মন্তব্য, ‘দেবের সাফল্যে কিছু মানুষের সবসময়ে এত হিংসে হয় কেন? আরে ভাই, ওঁর প্রাপ্যটা তো ওঁকে দাও অন্তত! বাংলা মেইনস্ট্রিম সিনেমার যে প্রত্যাবর্তন ঘটল, তার জন্য দেবকে ধন্যবাদ।’ বিরসার এহেন মন্তব্যে পালটা ধন্যবাদ জানিয়ে ‘খাদান’ সুপারস্টারের মন্তব্য, এসবে আমি এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। খাদান যতটা দেবের, ততটাই যিশু সেনগুপ্তর। শ্যাম-মোহন জুটির রসায়ন ব্লকবাস্টার। বাংলা কমার্শিয়াল সিনেমার দীর্ঘদিন এহেন উন্মাদনা দেখে খুশি সিনেমহলও। সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার প্রচার সফরে যে তিনি প্রান্তিক মানুষদেরও মন হৃদস্পন্দন স্পর্শ করেছেন, বক্স অফিসের গগনচুম্বী রেজাল্টই তার প্রমাণ।