পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের পশুপ্রেমীরা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে যে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় সমস্ত পথকুকুরদের ৮ সপ্তাহের মধ্যে শেল্টারে ভরতে হবে। যা নিয়ে প্রতিবাদ করছেন বলিউডের একাধিক তারকারা। এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়ও। পথকুকুরদের নিয়ে অনুপমা অভিনেত্রীর সুর চড়ানো অনেকেই ভাল নজরে দেখছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হচ্ছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী।
রূপালি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে লেখেন, সারমেয়রা হিন্দু ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে। অমবস্যায় যেমন কুকুরদের খাওয়ানোর চল রয়েছে, তেমনই ভৈরব বাবার মন্দিরে কুকুরেরাই কিন্তু প্রহরীর কাজ করে। আর সারমেয়দের নিয়ে আওয়াজ তুলতেই অনুপমার দিকে ধেয়ে আসে একের পর এক কটাক্ষ। একজন ব্যবহারকারী লেখেন, নিজে তো চিকেন, গোমাংস খান। তাহলে কেন পথকুকুরদের অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ করছেন? ওই নেটিজেন আরও লেখেন, আপনার পথকুকুরদের নিয়ে প্রতিবাদ করা মানায় না। কারণ আপনি চিকেন, মাটন, গোমাংস, মাছ সবই খান। পশুদের ওপর ভালোবাসার কথা উঠলে তা সব পশুদের ওপরই লাগু হয়। আপনার ঘরে দামি ব্রিড রয়েছে। যাঁরা পথকুকুরদের নিয়ে কথা বলছে, তাঁদের উচিত শেল্টার হোমে গিয়ে কুকুরকে খাবার খাওয়ানো উচিত।
তবে এই মন্তব্য দেখার পর চুপ করে থাকেননি রূপালি। তিনিও গর্জে উঠেছেন। তিনি বলেন, জেনে রাখুন, আমি বহু বছর ধরেই নিরামিশাষী। আমার বাড়িতে বিদেশি প্রজাতির নয়, বরং দেশি চারটে কুকুর রয়েছে। আমি অসহায় প্রাণীদের খাবার দিই। আমি দেশের প্রচুর গোশালাকে সাহায্য করি। পাশাপাশি, পথকুকুরদের নির্বীজকরণ করাই, তাদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। আমি একা নই। আমার ছেলেও পশুপ্রেমী। আসলে মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল ওরা।
তাই যাঁরা কুকুরদের আশ্রয়স্থলে থাকার স্বপক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। তাঁদের উদ্দেশে রূপালি বলেন, আমরা যদিও ওদের দূরে বিচ্ছিন্ন ভাবে রাখি তাহলে আমরা নিজেদের ক্ষতি করব। ওদেরকে আশ্রয়স্থলে বন্দি রাখা অমানবিকতার নির্দশন। তাই অভিনেত্রী সকলকেই অনুরোধ করেছেন পথ কুকুরদের দেখভাল করার, তাদের টিকা দেওয়ান বন্দোবস্ত করার যাতে সমাজের বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত না হয়।