শিশুশিল্পী হিসাবে খুবই জনপ্রিয় ছিল অরিত্র দত্ত বণিক। ডান্স বাংলা ডান্স-এর অ্যাঙ্কারিং হোক বা চিরদিনই তুমি যে আমার সিনেমা, অরিত্র বরাবরই নজর কেড়েছে সকলের। তবে সেই ছোট্ট অরিত্র এখন আর ছোটটি নেই। টলিপাড়ার সঙ্গে মোটামুটি সব সম্পর্কই ঘুচিয়ে ফেলেছেন অভিনেতা। এখন নিজের পেশা বদলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থা ও বিদেশি নানান ছবির কালারিস্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি। পেশাগত ভাবে সম্পাদনার কাজও করেন অরিত্র। তবে দেশ ও রাজ্যে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা নিয়েই নিজের মত প্রকাশ করতে পিছু পা হননি অরিত্র কোনওদিনই। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের বিষয়টি নিয়েও তিনি নিজের মতো করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। টলিপাড়ায় অচলাবস্থা সেটাও অজানা নয় তাঁর কাছে, আর সেটার জেরেই তাঁকে সমস্যার মুখে পড়তে হল।
অরিত্র যেহেতু বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করে থাকেন তাই তাঁকে একাধিক রাজ্যের বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির সঙ্গে মিটিং করতে হয়। সেরকমই মুম্বইয়ের এক এজেন্সি এসেছিল অরিত্রর সঙ্গে কথা বলতে। আর তারা এই রাজ্যে শ্যুটিং করতে স্বাচ্ছন্দ্য নয় তা জানিয়ে দিল অরিত্রর সংস্থাকে। আর সেটা নিয়েই পোস্ট দিলেন অরিত্র। অভিনেতা তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, খারাপ লাগে কিন্তু কিছু করার নেই এটাই নিষ্ঠুর পৃথিবী। বাংলার অচলাবস্থা We are not comfortable এই রিমার্কস দিয়ে মিটিং থেকে বেরোলেন মুম্বইয়ের এজেন্সির প্রোজেক্ট ম্যানেজার। আমাদের টিমের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দুটি বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেনের শ্যুটিং পশ্চিমবাংলায় হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু ব্র্যান্ড ও ইনভেস্টররা পিছু হটলেন, ভরসা রাখতে পারছেনা। দুটি শ্যুটিং এর একটি দিল্লিতে আরেকটি ঝাড়খন্ডে করা হবে।
অরিত্রর কথায় এটা একেবারে স্পষ্ট যে টলিপাড়ায় সোমবার থেকে যে অচলাবস্থা চলছে তারই শিকার হল অরিত্রর সংস্থা। তবে অরিত্র কোনও সময়ই ফেডারেশনের এই দাদাগিরিকে সমর্থন করেননা তা নিজের অন্য একটি পোস্টে স্পষ্ট করেছেন। যদিও এর সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে সেই সময় তাঁর পাশে এসে কেউ দাঁড়ায়নি। কোনও সংবাদ সংস্থাও তা নিয়ে খবর করেননি। অরিত্র একেবারে নিজের মতো করেই পুরো ঘটনাটি সামলেছিলেন আর যে কারণে টালিগঞ্জের নেতারা তাঁকে অত্যন্ত খারাপ হিসাবেই মার্ক করে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, অরিত্র বরাবরই টালিগঞ্জের স্বাধীন টিমগুলি নিয়ে কথা বলে এসেছেন। অরিত্রের দুদিন আগে করা পোস্টেই জানা গিয়েছে যে ফেডারেশন এর আগেও নিয়মের নাম করে ঝামেলা করেছে, শ্যুটিং থেকে ঘুষ নিয়েছে, কাজ বন্ধ করেছে, রিলিজ আটকেছে এমনকী সেন্সর লেভেলে হস্তক্ষেপ করেছে। আর যে কারণে বহু স্বাধীন, পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীরা বাংলা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেই সময় এদের পাশে কোনও বড় পরিচালক-প্রযোজকেরা দাঁড়ায়নি। অরিত্র এও জানিয়েছেন যে আজকে রাহুলের জন্য যেটা হল তা হওয়া দরকার ছিল।