শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান মাদক মামলায় বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে এল। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় তদন্তকারী এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে মামলা শুরু করেছে সিবিআই। যদিও আরিয়ান খান কাণ্ডের পরই এনসিবি প্রধানকে মুম্বই থেকে রাতারাতি বদলি করে চেন্নাই পাঠানো হয়। কিন্তু তাও অস্বস্তি কমছে না সমীর ওয়াংখেড়ের। সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে যে, পুত্র আরিয়ান খানকে বাঁচানোর জন্য বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়া হয় এবং রীতিমতো হুমকিও দেওয়া হয়। এই মামলার সাক্ষী কেপি গোসাভি, যার সঙ্গে আরিয়ান খানের সেলফি ভাইরাল হয়, সেই নাকি এনসিবি জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের হয়ে এসআরকে-এর কাছ থেকে এই টাকা ঘুষ চায়। সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে কেপি গোসাভির।
আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: অ্যাসিড আক্রান্তদের নিজের বাড়িতে ডাকলেন শাহরুখ, এক টেবিলে বসে করবেন লাঞ্চও?
সিবিআইয়ের এফআইআরে আইআরএস ২০০৮-এর অফিসার ব্যাচের সমীর ওয়াংখেড়ে, এনসিবির সুপারিটেনডেন্ট ভি ভি সিং এবং আরিয়ান খান মাদক মামলার তদন্তকারী অফিসার আশিষ রঞ্জনের নাম রয়েছে। এর পাশাপাশি নাম রয়েঠে কেপি গোসাভি ও তার সহকারী ডিসুজার নামও। সিবিআই সূত্রের খবর, মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে না জড়ানোর জন্য এরা সকলেই শাহরুখের থেকে ২৫ কোটি দাবী করেছিল। সম্প্রতি সিবিআই তল্লাশি চালায় সমীরের মুম্বইয়ের বাড়িতে। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি।
সমীরের বিরুদ্ধে সিবিআইযের অভিযোগ, শাহরুখ খানের কাছ থেকেই ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চান প্রাক্তন এই এনসিবি প্রধান। আরিয়ানের জামিন ও তাঁর সঙ্গীদের জামিনের জন্য এই বিপুল অর্থের দাবি জানান বলেই অভিযোগ। তবে শেষমেশ রফা হয় ১৮ কোটি টাকায়। এই টাকা দেওয়া নিয়ে আরিয়ান খানকে হুমকিও দেওযা হয় বলে সিবিআইয়ের এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে। এফআইআরে এও বলা হয়েছে যে কেপি গোসাভি ও তার সহকারী সানভিল ডিসুজাকে টোকেন হিসাবে খান পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে সেই ৫০ লক্ষ টাকা শাহরুখ খানের পরিবারকে ফিরিয়ে দেয় তারা। যদিও ১৮ কোটি টাকা আদৌও সমীর ওয়াংখেড়ের হাতে এসেছিল কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় সিবিআই।
আরও পড়ুন: Pathaan ott release: অপেক্ষার অবসান, OTT-তে আসছে 'পাঠান', কবে-কোথায় দেখা যাবে?
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলের এক বিলাসবহুল ক্রুজে তল্লাশি অভিযান চালায় এনসিবি। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখান থেকেই মাদক সেবন ও রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয় আরিয়ান খান সহ অন্যান্যরা। একমাস জেলে থাকার পর জামিনে ছাড়া পান শাহরুখ-পুত্র। এরপরও নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি দফতরে যেতে হয়েছে আরিয়ানকে। তবে সম্প্রতি এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে আরিয়ানকে নির্দোষ বলা হয়।