
৩১ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে জুবিন গর্গের শেষ ছবি। এই দিনটিতেই ছবিটি মুক্তি পাক ছবি, গায়ক ও অভিনেতা জুবিন চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছাতেই মুক্তি পাচ্ছে ছবি। সিঙ্গাপুরে প্রয়াত গায়ক ও অভিনেতার শেষ ছবি ‘রোই রোই বিনালে’ অসমে রিলিজ হওয়ার আগে থেকেই ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। প্রি-বুকিং বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে শুরু হতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গুয়াহাটির প্রেক্ষাগৃহের প্রায় সব আসন শেষ হয়ে গেছে।
রাজ্যের ভক্তরা ছবিটিকে ‘জুবিন দা’র শেষ ছবি’ হিসেবে সম্মান জানাতে প্রস্তুত ছিলেন। শুধু টিকিট বিক্রি নয়, সমর্থকরা ছবিটিকে স্থায়ীভাবে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের দাবি তুলেছেন। এই দাবিকে তুলনা করা হচ্ছে মুম্বাইয়ের মারাঠা মন্দিরে শাহরুখ খানের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ চলার মতো ধারাবাহিক প্রদর্শনের সঙ্গে।
গুয়াহাটির জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ শুভঙ্কর ব্যানার্জি বলেন, 'যদি ডিডিএলজে মারাঠা মন্দিরে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রদর্শিত হতে পারে, তাহলে আমাদেরও রোই রোই বিনালের জন্য একই ব্যবস্থা করা সম্ভব।' তিনি আবেদন করেছেন, সিনেমা হলগুলো ছবিটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকেরা ছবিটিকে কেবল বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন না, বরং এটি একজন শিল্পীর সঙ্গে চূড়ান্ত সংযোগ হিসেবে গ্রহণ করছেন। তারা লিখেছেন, 'আসুন আমরা একত্রিত হয়ে এটিকে একটি ঐতিহাসিক বিবৃতিতে পরিণত করি। এবং ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে জুবিনদা'র নাম স্থায়ী করি।'
এভাবেই ‘রোই রোই বিনালে’ মুক্তি পেয়েছে এক বিশাল ভক্ত আন্দোলনের সঙ্গে। যেখানে চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীতপ্রেমীরা সমৃদ্ধি ও স্মৃতির মেলবন্ধনে জুবিন গর্গকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছেন। ছবিটি শুধুমাত্র একটি বক্স অফিস প্রোজেক্ট নয়, বরং একজন প্রিয় শিল্পীর স্থায়ী উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি হয়ে উঠেছে।