আরজি কর-কাণ্ডের পর এখন সকলেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকারি হাসপাতালের ভেতরেই এক কর্তব্য়রত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর মেয়েদের নিরাপত্তা এখন বিরাট বড় প্রশ্নের মুখে। আর এরই মাঝে রাজ্য সরকারের এক বিবৃতি, যেখানে বলা হয়েছে রাতে মেয়েদের কাজ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে, আর এইসব নিয়েই উত্তেজনা একেবারে তুঙ্গে। তারই মাঝে রাতের নিরাপত্তা ঠিক কতটা জোরালো তা যাচাই করতে রাত ২টোর সময় বেড়িয়ে পড়লেন চিনি অভিনেত্রী।
পরনে সাদা রঙের কুর্তি। কপালে হলুদ তিলক। মধুমিতা হনুমানজির মন্দিরে মাথা ঠেকিয়ে মধ্যরাতে ঘুরে বেড়ালেন রাস্তায়। মধুমিতাকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, তিনি রাতের শহরে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তাঁর দিকে তাকাচ্ছেন না। কেউ কোনওভাবে বিরক্ত করছেন না। মধুমিতা মন্দিরে প্রণাম করে বলেন, এখন রাত দুটো। এই সময় এমন নির্জন জায়গায় একা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ কিন্তু আমার দিকে ঘুরে তাকাচ্ছে না। লোকজন আছে। পিছন থেকে গাড়ি আসছে দেখেছেন? কেউ আমার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। এটাই তো চাই আমরা মেয়েরা। তাই তো?
মধুমিতার এই ভিডিও পোস্টের পর অনেকেই তাঁকে ট্রোল করেছেন। কেউ কেউ অভিনেত্রীকে বলেছেন, আপনি তো একা নন, আপনার সঙ্গে ক্যামেরা পার্সন রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন আপনি যে এরকম অভিনয় করে ক্যামেরা লাইট ধরে ভিডিও করছেন, সেই কারণেই রাত ২টোর সময় আপনাকে কেউ দেখছে না। প্রসঙ্গত, মধুমিতার পুরো ভিডিওটি কেউ করে দিয়েছে সেটা একেবারেই স্পষ্ট।
তবে এই ভিডিও কলকাতার রাস্তার নয়। মধুমিতা গিয়েছেন দেওঘরে। সেখান থেকেই তিনি ভিডিও করেছেন। গাড়ি চালিয়েই দেওঘরে গিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আরজি করের ঘটনার পরে মেয়েদের সুরক্ষা বাড়াতে কয়েকটি ব্যবস্থা নেয় রাজ্য। তার মধ্যে বলা হয়, মেয়েদের রাতের শিফ্ট যথাসম্ভব বাদ রাখতে হবে। মধুমিতা বলেন, কত মেয়েরা রাতে কাজ করে ফেরে। কেউ কল সেন্টার থেকে কাজ সেরে আসেন। আমরা অভিনেতারাও যেমন অনেক সময় রাত করে ফিরি। এই শারদীয়ায় এইটুকুই আমি চাই, ভারতের প্রতিটা মেয়েই যেন এমন নিরাপদ বোধ করতে পারে। ভিডিওর শেষে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে টলিউডের অন্যান্য তারকাদের মধ্যে মধুমিতাকেও দেখা গিয়েছিল।