বাংলা বিনোদন জগতের পরিচিত এক পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। তাঁর পরিচালিত হিট ছবির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে শুধু বিরসা নন, তাঁর স্ত্রী বিদিপ্তাও টেলিভিশন তথা টলিউডে এক জনপ্রিয় নাম। টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক, তাঁর পরিচালিত সিনেমা বা সিরিজ সবসময়ই থাকে চর্চায়। কিন্তু পরিচালকের মাও কিন্তু কম জনপ্রিয় নন। একসময় দূরদর্শনের সঞ্চালিকা হিসাবে তিনি ভীষণভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। চেনেন তাঁকে?
বিরসা দাশগুপ্তের মায়ের চৈতালি দাশগুপ্ত। যিনি একসময় দূরদর্শনের নামকরা সঞ্চালিকা ছিলেন। ঘরে ঘরে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত এক মুখ। বঙ্গজীবনের অঙ্গ ছিল দশকের পর দশক কলকাতা দূরদর্শন। সেই দূরদর্শনের সবথেকে প্রিয় মুখ যিনি ছিলেন তিনি সঞ্চালিকা ঘোষিকা চৈতালি দাশগুপ্ত। পরে যিনি অভিনেত্রী হিসেবেও সফল। যার হাসি মুখ আর সুচারু উচ্চারণ আজও ভোলেনি বাঙালি। চৈতালি দাশগুপ্ত, শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, ছন্দা সেন, তরুণ চক্রবর্তী, পঙ্কজ সাহার মতো ব্যক্তিত্বরা একসময় দূরদর্শনের প্রাণ ছিলেন। সাদা-কালোর জমানায় যাঁদের দূরদর্শনে দেখে বড় হওয়া তাঁদের কাছে এই চ্যানেলের মাহাত্ম্য কোনওদিন ফিকে হওয়ার নয়।
সাতের দশক থেকে আট ও নয়ের দশকে ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠে ডিডি বাংলা। বিশেষ করে চৈতালি আর শাশ্বতী জুটিকে কিন্তু, আজও ভোলেনি দর্শক। সেই চৈতালি দাশগুপ্তের ছেলে বিরসা। যিনি বর্তমানে একজন নামকরা পরিচালক। ছেলের গৌরবে গর্বিত মা চৈতালি। প্রায়ই ঘরোয়া বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে মা-ছেলেকে একসঙ্গে দেখা যায়।
সম্প্রতি ৭০ বছরে পা দিলেন চৈতালি। রাজা দাশগুপ্তের সঙ্গে পাঁচ দশক পুরোনো দাম্পত্য চৈতালির। চৈতালির জন্মদিনেও একফ্রেমে ঝলমলে দম্পতি। ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন দুজনে। তারপরই তাঁদের জীবনে আসে বিরসা ও রিভু। এখন চৈতালির ভরা সংসার। ছেলে, ছেলের বউ, নাততনিদের নিয়ে খুবই আনন্দে দিন কাটে চৈতালির। মাঝে মাঝেই শহরের বাইরে ঘুরতে চলে যান। বিদিপ্তার সঙ্গেও তাঁর শাশুড়ির সম্পর্ক খুবই মিষ্টি। যদিও বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে থেকে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিদিপ্তার।