শেষ হতে চলেছে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়াল নিম ফুলের মধু। শুক্রবার ছিল এই সিরিয়ালের শেষ শ্যুট। দীর্ঘ আড়াই বছর দর্শকদের মন জয় করার পর অবশেষে এই সিরিয়াল তাদের পথ চলা থামালো। শ্যুটিং শেষ হওয়ার আগেই সিরিয়ালের প্রধান চরিত্র সৃজন তথা রুবেল তাঁর শেষ শ্যুটিং সেরে ফেলেছিলেন। শুরু হচ্ছে রুবেলের নতুন সিরিয়াল তুই আমার হিরো। নতুন ধারাবাহিকের জন্য আগেভাগেই তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল নিম ফুলের মধু। কিন্তু নতুন সিরিয়াল শুরু হলেও সৃজন দত্তকে এখনও ভুলতে পারছেন না রুবেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আবেগী মনকে উজাড় করে দিলেন।
নতুন সিরিয়াল তুই আমার হিরো-র জন্য নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের শেষদিনের শ্যুটে থাকতে পারেননি রুবেল। যদিও মন পড়েছিল সেখানেই। তবে দূরে থেকেও বোঝালেন ‘দত্ত বাড়ি’র দরজায় তালা পড়তেই মনখারাপ ‘সৃজনের’। রুবেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, 'দত্ত পরিবার, একটা গোটা আড়াই বছরের যাত্রা, সৃজন এই সবকিছু মনে থাকবে। প্রত্যেক শুরুর একটা শেষ থাকে, এই সত্যটাকে মেনে নিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হয় সকলকে। এই যাত্রার অবসান হল তবে দর্শকের একরাশ ভালবাসা আর শুভেচ্ছা নিয়ে, এই অনেক... ধন্যবাদ জানাই জি বাংলে কে আমায় সৃজন চরিত্রটি উপহার দেওয়ার জন্যে। আশীর্বাদ করবেন যেনো আর এক অন্য রূপে আপনাদের মন জয় করতে পারি। শেষে বলব লং লাইভ নিম ফুলের মধু।'
নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে সৃজন ও পর্ণার জুটি দর্শকের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। দর্শক পেয়েছিলেন নতুন এক জুটি। সিরিয়ালে এই জুটির প্রেম, আলাদা হওয়া, বিয়ে, বন্ধুত্ব সবটাই খুব আপন করে নিয়েছিলেন দর্শকেরা। রুবেলের মতোই মন খারাপ পর্দার পর্ণা তথা পল্লবী শর্মার। নিম ফুলের মধু সিরিয়ালে পর্ণাকে বরাবরই দেখা গিয়েছিল বিপদে পড়লেই তিনি জগু দাদার দ্বারস্থ হতেন। সিরিয়ালের শেষদিনে ভগবান জগন্নাথকে কোলে নিয়ে ছবি দিয়ে লিখলেন, 'ভাল থেকো জগু দাদা।'
নিম ফুলের মধু-র কাজ শেষ করেই ‘তুমি যে আমার হিরো’ শুরু করেছেন রুবেল। মার্চেই শো-র সম্প্রচার শুরু হওয়ার কথা। ফলত কাজের চাপ মারাত্মক। আর তাই নিম ফুলের মধু সিরিয়ালের সব কলা কুশলীদের সঙ্গে শেষ ডিনার সারতে আসতে পারেননি তিনি। খুব জনপ্রিয় হয়েছিল পর্ণা ও রুবেলের জুটি। এমনকী, বরাবরই রাত ৮টার স্লট দখলে রেখেছিল নিম ফুলের মধু। এরপর ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে আচমকাই ৬০০ এপিসোড পার করার পর, বিকেল ৬.৩০-এ পাঠিয়ে দেওয়া হয় এই ধারাবাহিককে। তারপর থেকে বেশিরভাগ সপ্তাহেই স্লটহারা। টিআরপি-তেও সেরা দশ থেকে যায় ছিটকে।