ন'য়ের দশকে তিনি ছিলেন সকলের হট ফেভারিট অভিনেত্রী। তাঁর পাতলা কোমরের ঝটকা সেই সময় বহু পুরুষের ঘুম ওড়াতো। তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন বহু পুরুষ। সেই মমতা কুলকার্নি ২৪ বছর পর মুম্বইতে পা রাখলেন। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন এই কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে। আর তারপরই শুরু হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর বলিউডে কামব্যাক নিয়ে জোর গুঞ্জন।
মমতা কুলকার্নি সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, শেষবার তিনি ভারতে কুম্ভ মেলায় যোগ দিতে এসেছিলেন আর এখন এলেন ২৫ বছর পর। আবারও তিনি কুম্ভ মেলাতে যোগ দেবেন। মমতা তাঁর ভিডিওতেই জানিয়েছেন যে তিনি ভারতে ফিরে নস্ট্যালজিক হয়ে গেছেন। ২০০০ সালে তিনি মুম্বই ছেড়ে বিদেশে চলে যান। অভিনেত্রী এও বলেন যে তিনি খুবই খুশি যে ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই তিনি ভারতে ফিরে আসতে পেরেছেন।
মমতা বলেন, এত বছর পর আমার দেশকে দেখে ভালো লাগছে। অনেক উন্নতি করেছে। চোখে জল এসে গিয়েছিল যখন মুম্বই বিমানবন্দরে পা দিই। এই আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করলেও, মমতা কিন্তু পরিষ্কার করেননি কেন তিনি এত বছর পর মুম্বইয়ে পড়েছেন। তবে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠসূত্রের দাবি, বলিউডের এক পরিচালকের কাছ থেকে নতুন ছবির অফার পেয়েছেন। সেই কারণেই ভারতে ফেরা।
তবে সূত্রের খবর এও যে মমতা কুলকার্নি সম্প্রতি মাদক মামলায় বম্বে হাইকোর্ট থেকে ক্লিনচিট পেয়েছেন, যার পরই তিনি ভারতে আসেন। জেনে রাখুন, ৮ বছর আগে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে হাই-প্রোফাইল মাদক কাণ্ডে। এরপরই মমতা দেশ ছেড়ে কেনিয়া চলে গেলেন। প্রসঙ্গত, নয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মমতা কুলকার্নি। অন্যদিকে, সম্প্রতি ফের মুক্তি পেয়েছে মমতা কুলকার্নি অভিনীত সুপারহিট ছবি করণ-অর্জুন। ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি ২০২৪-এও দারুণ সাড়া ফেলেছে। এই ছবিতে সলমন খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল মমতা কুলকার্নিকে।
২০০২ সালে ‘কভি তুম কভি হম’ ছবিতে শেষ বারের মতো অভিনয় করতে দেখা যায় মমতাকে। তার পর ইন্ডাস্ট্রি থেকে একেবারে উধাও হয়ে যান তিনি। চার বছর পর মমতার নাম উঠে আসে মাদক পাচারকাণ্ডে। ভিকি গোস্বামী নামে এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এর পর মুম্বই ছেড়ে ভিকি এবং মমতা দু’জনেই দুবাই চলে যান। ভিকি পাঁচ বছরের হেফাজতে থাকার শাস্তি পান। জেল থেকে ফিরে এলে মমতাকে নিয়ে কেনিয়ায় চলে যান ভিকি। শোনা যায় যে, ২০১৩ সালে দু’জনে বিয়ে করেন। যদিও বিয়ের কথা কখনও স্বীকার করেননি মমতা।