বলিউডের বিশিষ্ট পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর শিরে সংক্রান্তি। পরিচালকের ২ বছরের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গুজরাতের জামনগর আদালত। সঙ্গে ২ কোটি টাকা জরিমানাও। কোটি টাকার চেক বাউন্স মামলায় রাজকুমার সন্তোষীকে এই শাস্তি শোনানো হল শনিবার। প্রসঙ্গত, ঘায়েল, ঘাতক, দামিনী, আন্দাজ আপনা আপনা সহ একাধিক হিট বলিউড ছবির পরিচালক রাজকুমার।
শিল্পপতি অশোক লালের অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়র সিভিল বিচারক ভিজে গাদভি পরিচালকের ২ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং অশোক লালকে দ্বিগুণ টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথাও জানান বিচারক। তিনবার জাতীয় পুরস্কার এবং ছ-বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের জেল হেফাজতের খবর শুনে হতবাক অনেকেই। তবে আদালত পরিচালকের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়েছে।
শিল্পপতির অভিযোগ অনুযায়ী, সন্তোষীর থেকে ১০ লক্ষ টাকার ১০টি চেক পান তিনি, যার অর্থমূল্য মোট ১ কোটি টাকা। কিন্তু ১০টি চেকই বাউন্স করে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার জেরেই সমস্য়ায় রণবীর-ক্যাটরিনার ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানি’র পরিচালক। পরিচালকের ছবিতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন অশোক লাল। সেই টাকা ফেরৎ দেওয়ার নামেই ভুয়ো চেক দেওয়া হয়। এমনকী রাজকুমার সন্তোষীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও করা যায়নি। এরপর পরিচালক টাকা দিতে ব্যর্থ হলে অশোক লাল তাঁকে ২০১৭ সালে আইনি নোটিস পাঠান।
পরিচালক এই মামলাটিকে মুম্বই আদালতে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করে সেশন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেশন আদালত অশোক লালের পক্ষে গিয়ে নির্দেশ দেন যে এই সংক্রান্ত সব মামলাই জামনগর আদালতে হবে। সমনের পর সমন যাওয়ার পরও পরিচালক কোর্টে হাজিরা দেন না। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি করা হয়।
কিছুদিন আগেই ‘লাহোর ১৯৪৭’ নিয়ে বড় আপটেড দিয়েছিলেন সন্তোষী। জানিয়েছিলেন এই ছবিতে সানির সঙ্গে ফের একবার স্ক্রিন শেয়ার করবেন প্রীতি জিন্টা। 'ঘায়েল,' 'দামিনী,' এবং 'ঘটক'-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন সানি দেওল ও রাজ কুমার সন্তোষী। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকেই শ্যুটিং শুরু হয়েছে আমির খানের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবির। প্রসঙ্গত, সন্তোষীর কালজয়ী ছবি ‘আন্দাজ আপনা আপনা’র নায়ক ছিলেন আমির।