সমুদ্রের ঘোলা জল। আর সেই জলে তুমুল আনন্দ করছে একটা ছোট্ট ছেলে। মায়ের সঙ্গে সমুদ্রের জলে চলছে দাপাদাপি। মা-ছেলের পিছনেই রয়েছে বাবা। ছবি দেখে এটা বোঝাই যাচ্ছে যে মা-বাবার সঙ্গে সমুদ্রের জলে দারুণ মজা করছে ছেলেটি। এই শিশুটি কিন্তু সেই সময় থেকেই বাংলা সিনেমায় কাজ করে চলেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি টলিউডের নায়ক, প্রযোজকও বটে। আবার রাজনীতির ময়দানেও রয়েছে তাঁর সমান দখল। এখানে যাঁর কথা বলা হচ্ছে তিনি শিশুশিল্পী হিসাবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা লাভ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া এই ছবি দেখে অনেকেই আন্দাজ করে নিয়েছেন যে ইনি কে।
ছোটবেলায় পড়ার ফাঁকে ছুটি পেলে মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা আলাদাই ছিল। সমুদ্র হোক বা পাহাড় ছোটবেলায় যেন সবকিছুই বড় সুন্দর মনে হত। আর সঙ্গে যদি থাকত মা-বাবা। রবিবার ছিল মাদার্স ডে। আর সেই উপলক্ষ্যে টলিউড অভিনেতা শেয়ার করলেন তাঁর ছোটবেলার ছবি। ছবিতে এই ছোট্ট শিশুটি আর কেউ নন মাস্টার বিট্টু ওরফে আজকের সোহম চক্রবর্তী। ছোটবেলার ছবি ভাগ করে অভিনেতা পুরনো স্মৃতিতে ভেসেছেন। ছোটবেলায় সোহম মাস্টার বিট্টু নামেই দর্শকদের কাছে পরিচিত ছিলেন। সোহমের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা দীপা চক্রবর্তী ও সুব্রত চক্রবর্তী।
তবে সোহম এর সঙ্গে আরও দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে এখনকার সোহমকে দেখা যাচ্ছে মা-বাবার সঙ্গে এবং তৃতীয় ছবিতে স্ত্রী তনয়ার সঙ্গে দুই সন্তান সাঁঝ ও আয়াংশ। এই ছবি পোস্ট করে সোহম ক্যাপশনে লেখেন, মা এবং মায়েরা বীরপুরুষরা। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ৪ মার্চ জন্ম হয় সোহম চক্রবর্তীর। মাত্র ৩ বছর বয়সেই ‘ছোট বউ’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন সোহম। সেসময় মাস্টার বিট্টু নামেই পরিচিতি পান। এরপর শিশু শিল্পী হিসাবে ১৯৮৯ সালে মঙ্গলদীপ, ১৯৮৯ সালে নয়নমনি, ১৯৯০ সালে জোয়ার ভাটা , ১৯৯০-এ সত্যজিৎ রায় পরিচালিত শাখা প্রশাখা , ১৯৯৭ সালে ভাগ্য দেবতা সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। জোয়ার ভাটা (১৯৯১) এবং শাখা প্রশাখা (১৯৯০) ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি বছরের শিশুশিল্পী হিসেবে দুবার উত্তম কুমার পুরস্কারে ভূষিত হন। বেশকিছু টেলিভিশন সিরিজেও অভিনয় করেছেন তিনি।
এরপর বড় হয়ে তরুণ মজুমদার (২০০৭) পরিচালিত ‘চাঁদের বাড়ি’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি সোহমকে। একের পর এক কর্মাশিয়াল ছবিতে অভিনয় করেন। পায়েল সরকারের সঙ্গে অভিনীত প্রেম আমার ছবিতে সোহমের অভিনয় প্রশংসিত হয়। দেবের সঙ্গে প্রধান ছবিতেও সোহমের উপস্থিতি সকলের নজর আকর্ষণ করে। এই মুহূর্তে তাঁর প্রযোজনায় শাস্ত্রী ছবির কাজ চলছে। যেখানে মিঠুন ও দেবশ্রীকে একসঙ্গে দেখা যাবে।