রবিবার ছিল দিদি নম্বর ১-এর জমজমাটি অনুষ্ঠান। কারণ এই প্রথমবার কোনও নন-ফিকশন শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, ৩ মার্চ রাত ৮টায় সম্প্রচারিত হয় সেই অনুষ্ঠানের। প্রসঙ্গত, দিদি নম্বর ১-এর এই পর্বের প্রোমো সামনে আসার পর থেকেই সকলে মুখিয়ে ছিলেন এই পর্ব দেখার জন্য। ব্যস্ত রাজনীতি থেকে সময় বের করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রিয়্যালিটি শোতে এসে ভাগ করে নিলেন তাঁর জীবনের বহু ঘটনা-অভিজ্ঞতার কথা। আর এখানেই জানালেন তিনি কোন সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসেন।
রাজনীতির সঙ্গেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জীবন নানান ঘাত-প্রতিঘাতে ভরপুর। আর লোকসভা নির্বাচনের আগেই দিদি নম্বর ১-এ এসে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বহু কথাই জানান সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর এই বিশেষ এপিসোড। মমতান এর আগেও বহু জায়গাতেই বলেছেন যে তিনি সিনেমার চেয়ে বেশি সিরিয়াল দেখতেই পছন্দ করেন। আর রচনাকে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তাঁর বাড়ির অন্য মহিলা সদস্যদের সঙ্গে তিনিও এই দিদি নম্বর ১ দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। রবিবারের এই এপিসোডে মমতাকে একেবারে তাঁর নিজস্ব সহজাত ভঙ্গীমাতেই রচনাকে বলতে শোনা যায়, তোমার শোতে আসার জন্য আমিই তো বলেছিলাম। জানো তো আমার বাড়ির মেয়ে-বউরা কেউই ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর একটা এপিসোডও মিস করে না। এটাই ওদের প্রিয় শো। সকলে একসঙ্গে মিলে বসে দেখতে থাকে এই শো। তা দেখে আমার খুব ভাল লাগে।
অর্থাৎ তিনি দিদি নম্বর ১ দেখতে ভালোবাসেন এই কথা স্পষ্ট করলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জন্মের অজানা কাহিনীও জানান। তিনি জানান, খাতায় কলমে তাঁর জন্মদিন ৫ জানুয়ারি হলেও তা সত্য নয়। তিনি জানান, স্কুলে যখন তাঁর দাদার বয়স লেখা হচ্ছিল, তখন তাঁর বয়স লেখার সময় বাবা বলেছিলেন যা খুশি বসিয়ে দিতে। দাদার বয়সই বসিয়ে দেওয়া হয়। আর বদলানো হয়নি। তাহলে কবে মুখ্যমন্ত্রীর আসল জন্মদিন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন জন্ম নেন তিনি। সে দিন খুব বৃষ্টিও হয়েছিল। ৫ অক্টোবর জন্মেছিলেন তিনি। তবে এদিনের দিদি নম্বর ১ শোতে মমতা প্রতিযোগী হয়ে আসেননি বরং এসেছিলেন অথিথি হয়ে।
আর এই শোটি খেলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোম চৌধুরীরা। তবে অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে রুটিও যেমন বেললেন তেমনি ধামসাও বাজালেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই অবতারে রীতিমতো হতবাক অন্য প্রতিযোগীরা। রবিবারের এই বিশেষ পর্ব শুরু হয় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের দলের দুর্গা বন্দনা দিয়ে। এরপর রাজ্যসঙ্গীত পরিবেশন হয়। তারপরই শুরু হয় এই মুখ্যমন্ত্রী ও রচনার আড্ডা।