পদ্মশ্রী অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের মন্তব্যে তোলপাড় নেটপাড়া। গত বছর থেকেই তিনি হঠাৎ করেই সরব হয়েছেন মহিলাদের পোশাক পরা, শাড়ি পরার স্টাইল নিয়ে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চা প্রায় তুঙ্গে। সম্প্রতি আবারও একাধিক বিষয় নিয়ে বিস্ফোরত মন্তব্য করেছেন মমতা শঙ্কর। যার মধ্যে অন্যতম স্যানিটরি ন্যাপকিন, পিরিয়ড ও মেয়েদের পোশাক। এই সাক্ষাৎকার সামনে আসার পর থেকেই মমতা শঙ্করকে নিয়ে আলোচনা চলছেই। আগেও নিজের ভ্লগে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভাইঝি শ্রীনন্দা। আর এবারেও নাম না করে মমতা শঙ্কর সহ প্রাচীন পন্থীদের বিঁধলেন অভিনেত্রী।
সম্পর্কে শ্রীনন্দা শঙ্করের পিসি হন মমতা শঙ্কর। অর্থাৎ মমতা শঙ্করের দাদার মেয়ে শ্রীনন্দা। পিসি ও মা তনুশ্রী শঙ্করের মতো শ্রীনন্দাও নাচে পারদর্শী। করেছেন অভিনয়ও। তবে সেখাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁকে দেখা যায়নি। এখন মুম্বইতেই থাকেন তিনি। আর সেখান থেকেই নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন শ্রীনন্দা। যদিও তিনি তাঁর পোস্টে কারোর নাম উল্লেখ করেননি। তবে নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন অভিনেত্রী তাঁর পিসিকেই একরকমভাবে কটাক্ষ করেছেন।
শ্রীনন্দা লেখেন, 'A general observation! বংশগৌরব আর প্রতিভা একজন মানুষকে চেনায় না। তাঁর চিন্তা আর বিশ্বাসই আসল। এখন আর সেই দিন নেই যখন মানুষ একজন অভিনেতাকে তাঁর চরিত্র ভেবে নিত। তারকাদের রাগ-অভিমান এখন পুরনো হয়ে গেছে। আজকের দিনে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন, সেটাই আসল। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক তারকাই সময়ের সঙ্গে চলতে শেখেনি, তাই তাঁর বিরক্ত আর তিক্ত হয়ে পড়ে।' শ্রীনন্দার এই পোস্টে একের পর এক কমেন্ট আসতে থাকে। সকলেই তাঁর এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। শ্রীনন্দার এই পোস্টে একজন লেখেন, আপনার এই পোস্টের ভীষণ দরকার ছিল। ওনাকে সমালোচনা করার মতো আমাদের কারোর যোগ্যতা নেই। অনেকে লেখেন, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল এই কথাগুলো...বিশেষ করে আপনার কাছ থেকে।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেন যে, স্যানিটরি ন্যাপকিন তিনি তাঁর বাবা ও ছেলেকে দিয়ে আনাতে পারবেন না। এমনকী শিশুদের গুড টাচ ব্যাড টাচ শেখানো নিয়েও তিনি আপত্তি প্রকাশ করেন। এই মন্তব্যগুলো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ মমতা শঙ্করের নিন্দায় সরব হন। সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ শ্রীনন্দা শঙ্কর। আনন্দ শঙ্কর ও তনুশ্রী শঙ্করের কন্যা দীর্ঘদিন মুম্বই নিবাসী। হাতে গোনা বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন, পেশাদারভাবে নাচ করেন না তিনি। কিন্তু নিয়মিত ভ্লগিং করেন শ্রীনন্দা। গত বছর সেই ভ্লগেই মমতা শঙ্করের নাম না করে বলেছিলেন শঙ্কর বাড়ির অনেক লোক আছেন যারা আজ বেঁচে থাকলে 'মি টু'তে মরে যেত।