Advertisement

Dhumketu: 'একই টেবিলে বসা দুজনেই আজ নেই', 'ধূমকেতু'র সাফল্যের মাঝে মন খারাপ পরিচালকের

Dhumketu: স্বাধীনতা দিবসের মরশুমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামি এনে দিয়েছে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ধূমকেতু। দেব-শুভশ্রীর জুটির শেষ ছবি মুক্তি পাওয়ার জন্য দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে দেব প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে এই ধূমকেতু ছবিটি মুক্তি হয়। গত ১৪ অগাস্ট এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে।

ধূমকেতু শ্যুটিংয়ের পুরনো স্মৃতি হাতড়ালেন পরিচালকধূমকেতু শ্যুটিংয়ের পুরনো স্মৃতি হাতড়ালেন পরিচালক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Aug 2025,
  • अपडेटेड 3:21 PM IST
  • স্বাধীনতা দিবসের মরশুমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামি এনে দিয়েছে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ধূমকেতু।

স্বাধীনতা দিবসের মরশুমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামি এনে দিয়েছে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি ধূমকেতু। দেব-শুভশ্রীর জুটির শেষ ছবি মুক্তি পাওয়ার জন্য দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে দেব প্রোডাকশনের পক্ষ থেকে এই ধূমকেতু ছবিটি মুক্তি হয়। গত ১৪ অগাস্ট এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে। আর এরই মাঝে ধূমকেতুর স্মৃতিতে ভাসলেন পরিচালক কৌশিক। এই সফলতার মাঝেও দুজনের অভাব বোধ করছেন।

পরিচালক একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে ক্যাফের টেবিলে দুটো জলের বোতল, কিন্তু সেটা ফাঁকা। ওইদিকের টেবিলে দুজন মানুষ বসে রয়েছেন, মূলতঃ তাঁদের নিয়ে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের এই লেখা কিংবা শ্রদ্ধার্ঘও বলা যেতে পারে। পরিচালক জানিয়েছেন এই ছবিটা তাঁর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধূমকেতুর দৃশ্যের শট। যেখানে নৈনিতালের একটা ক্যাফেতে দেব ও শুভশ্রীর দেখা হয়, কিন্তু শুভশ্রী বৃদ্ধ অবতারে থাকা দেবকে চিনতে পারেন না। এরপরই পরিচালক জানিয়েছেন, অপর টেবিলে দুজন বসে রয়েছেন, যাঁর একজনের মাথায় টুপি আর একজন উল্টোদিকে বসে হালকা দাড়িমুখে। এঁরা দুজনেই তাঁদের কাজে ব্যস্ত। এরপরই পরিচালক জানান যে এই দুজন তাঁদের ইউনিটের সদস্য। 

কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাইরে কোথাও শুটিং করতে গেলে হামেশাই ফ্রেমের প্রয়োজনে ইউনিটের সহকর্মীদের অনুরোধ করে বসতে বা হেঁটে যেতে বলা হয়। এটাও তেমনি। টুপি মাথায় যিনি তাঁর নাম সঞ্জয় ভট্টাচার্য, প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্টের বন্ধু ও উল্টোদিকে বসা ভদ্রলোক বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্ট বিক্রম গায়কোয়াড়জি। পরিচালক জানিয়েছেন, দশ বছর পর ধূমকেতু যখন মুক্তি পেয়েছে, তখন ওই টেবিলে বসা দুজন মানুষই তাঁদের মধ্যে নেই। এরপরই আক্ষেপের সুরে পরিচালক জানান, অন্যান্য টেবিলে আরও অন্য ইউনিট মেম্বার ফ্রেম ভরাট করতে বসেছিলেন। কিন্তু কেন যে ওই দুজনকেই বেছে ওই একই টেবিলে বসিয়েছিলাম তার কোনও উত্তর পাচ্ছিনা! ছবির ফাইনাল প্রিভিউ করতে গিয়ে এটা ধরা পড়ে আমার চোখে। সত্যি গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আরো অস্বস্তি হয় সামনে রাখা দুটো খালি জলের বোতল দেখে। ওটা রূপক নাকি কাকতালীয়! আমরা তো আমাদের দৃশ্য সাজিয়েছিলাম আমাদের সিনেমার জন্য! কিন্তু অলক্ষ্যে কেউ কি টেবিল সাজিয়ে নিয়েছিল তাঁর নিজের চিত্রনাট্য অনুযায়ী! নইলে ওই একই টেবিলে বসা দুজনেই আজ কেন নেই আমাদের মধ্যে? দুটো খালি বোতল কেন ওখানেই রাখা? যতদিন সিনেমা বানাবো, এই ফ্রেমটা তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে।  

Advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মেকআপ শিল্পী বিক্রম গায়কোয়াড় প্রয়াত হন। মুম্বইতে তাঁর বাড়িতেই মারা যান শিল্পী।  দেব-শুভশ্রী অভিনীত ‘ধুমকেতু’রও মেক শিল্পী ছিলেন তিনি। দেবের এই ছবিতে প্রস্থেটিক মেকআপ তাঁর হাতেই করা। ধূমকেতু আজ দশ বছর পর মুক্তি পেয়েছে, সাফল্য আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু পরিচালক কিছুতেই ভুলতে পারছেন না এই দুই সদস্যকে, যাঁদের অবদান অন্যদের চেয়ে কম কিছু নয়।  

Read more!
Advertisement
Advertisement