মন ভাল নেই টলিপাড়ার। যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনার ২০ বছরের সুখের সংসারে কি তবে সত্যিই ভাঙন ধরল? টলিউডের অন্দরে কান পাতলে এখন এই খবরই শোনা যাচ্ছে। যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। শোনা যাচ্ছে, যিশু নাকি কলকাতায় নিজের বাড়িতেও থাকছেন না। অপরদিকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সেনগুপ্ত পদবী সরিয়ে ফেলেনছেন যিশু-পত্নী। তাহলে কি সত্যিই তাঁদের দুই দশকের সম্পর্কে ফাটল ধরল? আর এই জল্পনা কিছুটা উস্কে দিলেন পরিচালক রাজর্ষি দে।
টলিউড, বিলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমাতেও পা জমাতে শুরু করেছেন যিশু। কাজের ব্যস্ততা এতটাই যে দম ফেলার ফুরসত নেই। বেশিরভাগ সময়েই তাঁকে মুম্বইতেই থাকতে হয়। আর সেখানেই নাকি কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন যিশু। যদিও তিনি কোনও অভিনেত্রী নন। এদিকে দিন তিনেক আগেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। শোনা যাচ্ছিল যে তিনি নাকি ডিহাইড্রেশনের কারণে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। তবে টলিপাড়ার খবর বলছে অন্য়। শোনা যাচ্ছে, নার্ভাস ব্রেকড্রাউনের কারণেই নীলাঞ্জনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু সুস্থ হতেই নীলাঞ্জনা মন খারাপের পোস্ট দেন তাঁর পেজে। আর সেখানে দুই মেয়ে ও বোন চন্দনার কথা থাকলেও ছিল না যিশুর উল্লেখ। আর এইসব কিছুর পরই মনে হচ্ছে যিশু-নীলাঞ্জনার দাম্পত্য়ে এবার ভাঙন ধরেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলাঞ্জনার মন খারাপ করা পোস্ট শেয়ার করেছেন পরিচালক রাজর্ষি দে। তিনি লেখেন, অনেক কিছুই আজকাল শুনে আর অবাক হই না। কিন্তু কেন জানি না এইটা দেখার পর থেকে খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমি সবসময় ফিল্মি তাই ‘ডিয়ার জিন্দেগি’র মতো ভাবি “হর টুটি হুই চিজ জুড়ি যা সাকতি হ্যায়।” কিন্তু জীবন যে সবসময় সিনেমা নয়, আমার একা একা এটা পড়ে মন খারাপটা আবার প্রমাণ করে দিল। সত্যি মন খারাপ হচ্ছে খুব। এই মানুষ দুজন দূর থেকে হলেও বড় কাছের ছিল আমার। আসলে ম্যাজিক আর মিরাকেল হয়, আমার জীবনেও হল। তবে রাজর্ষি দে এই পোস্ট করার পরই তা মুছে দেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে। আবার নীলাঞ্জনা তাঁর ফেসবুক পেজটিও লক করে রেখেছেন, যা এতদিন পাবলিক ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বিয়ে করেন যিশু-নীলাঞ্জনা। তাঁদের দুই মেয়ে সারা ও জারা। কিছুদিন আগেই সারা গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। এই বছরই যিশু ও নীলাঞ্জনার দাম্পত্য জীবন ২০ বছরে পা দিল। যিশু তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে শুভেচ্ছাও জানান। তাঁদের হাসিখুশি সংসারে এমন কী ঘটল যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হলেন যিশু-নীলাঞ্জনা?