ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে মা ও ছেলে। মায়ের পরনে ঘিয়ে রঙের শাড়ি, খোলা চুলে ক্লিপ দেওয়া, কপালে ছোট টিপ ও কানে রিং কানের দুল। মাকে জড়িয়ে রয়েছে ১২-১৩ বছরের একটি ছেলে। হাফ হাতা শার্ট ও প্যান্ট পরে রয়েছে সে। মা ও ছেলে দুজনেই ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন। এই ছবি যে বেশ কয়েক বছর আগেকার তা দেখেই বোঝ যাচ্ছে। মাকে জড়িয়ে ধরা এই কিশোর এখন টলিপাড়ার জনপ্রিয় গায়ক। তাঁর গানে মজে আট থেকে আশি সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মা-ছেলের ছবি এখন ভাইরাল।
এটা যে গায়কের কৈশোর বয়সের ছবি সেটা আর নতুন করে বলে দিতে হবে না। বাংলায় তিনি এখন অন্যতম গায়ক-গীতিকার। তাঁর গানে প্রেমের ভাষা খুঁজে পায় এই প্রজন্ম। সুরের এত কাছাকাছি পৌঁছনোর পিছনে ভূমিকা রয়েছে পরিবারের। শৈশব থেকে মায়ের কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনেই বড় হয়েছেন এই কিশোর। আর এখন তাঁর গান শোনার জন্য ভিড় জমান শ্রোতারা। টলিপাড়ার নামকরা পরিচালকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন এই গায়ক। তাঁর গান নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই কিশোরটি আসলে কে। ইনি হলেন অনুপম রায়। গায়ক তাঁর মা মধুঋতা রায়ের সঙ্গে ছাদের ওপর এই ছবি তুলেছে।
ধূমকেতু ছবির মা গানের কিছু লাইন দিয়ে এই ছবি পোস্ট করেন অনুপম রায়। এই মা গানের সুর ও গীতিকার গায়ক নিজেই। ইতিমধ্যেই এই গানের ভিউ ৩ লক্ষের বেশি হয়ে গিয়েছে। অনুপম রায় তাঁর মায়ের কাছেই গানের প্রথম তালিম নিয়েছিলেন। মা মধুঋতা রায় গান শিখতেন সুচিত্রা মিত্রের কাছে। ২৩-২৪ বছর আগে রেকর্ডও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১০টি গান। মায়ের থেকেই গানের প্রতিভা পেয়েছেন অনুপম রায়। প্রসঙ্গত, অনুপম রায় মাঝে মাঝেই তাঁর ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে তিনি ছবি পোস্ট করেছিলেন তাঁর বাবার সঙ্গে। আর এবার মায়ের সঙ্গে কৈশোর বেলার ছবি পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন।
অনুপমের দ্বিতীয় প্রাক্তন স্ত্রী পিয়াও রবীন্দ্রসঙ্গীতে পারদর্শী। কিন্তু অনুপম ও পিয়ার সেই সংসার টেকেনি। আলাদা হতে হয় তাঁদের। পিয়া এখন বিয়ে করেছেন টলিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। আর অনুপম বিয়ে করেন গায়িকা প্রস্মিতা পালকে। দুজনেই নিজেদের সংসার নিয়ে ব্যস্ত।