টেলিভিশনে জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলির মধ্যে ফুলকি অন্যতম। গত সপ্তাহেও 'ফুলকি' তিন নম্বর স্থানে নিজের জায়গা কায়েম করে রাখতে পেরেছে। শুরু হওয়া মাত্রই 'ফুলকি' সিরিয়ালটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। টিআরপি তালিকাতেও এই সিরিয়ালটি সব সময়ই এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে। আর এই সিরিয়ালে ডেবিউ করেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন 'ফুলকি' তথা দিব্যাণী মণ্ডল। একটা সিরিয়ালেই তাঁর জনপ্রিয়তা এখন আকাশ ছোঁয়া। ফুলকি সিরিয়ালের দৌলতে দিব্যাণী এখন সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু জানেন অভিনেত্রীর প্রথম সিরিয়ালে অভিনয় করে ঠিক কত পারিশ্রমিক পান?
দর্শকদের সামনে এক একটা পর্ব তুলে ধরার জন্য সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের করতে হয় বিরাট পরিশ্রম। আর তারকাদের সেই পরিশ্রমের এক-এক মিনিটের পারিশ্রমিক সংখ্যায় অনেক। ফুলকি সিরিয়ালটি খুব কম সময়ের মধ্যেই দর্শকদের দারুণ ফেভারিট হয়ে গিয়েছে। নাম ভূমিকায় থাকা দিব্যানীর চরিত্রটিও দর্শকদের দারুণ প্রিয়। দিব্যানীর বিপরীতে রয়েছেন অভিষেক বোস। দিব্যানী-অভিষেকের জুটিও খুব ভাল লাগছে দর্শকদের। এই 'ফুলকি' সিরিয়াল দিয়েই টেলিভিশনে পা রেখেছেন দিব্যাণী।
এক বিনোদনের ওয়েব সাইট অনুযায়ী, এই অভিনেত্রীর প্রথম ধারাবাহিক হল ফুলকি। প্রথম ধারাবাহিকেই নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। দিব্যাণী এই মুহূর্তে পারিশ্রমিক পান প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা। পারিশ্রমিকের নিরিখে তিনি রয়েছেন দশম স্থানে। যদিও শোনা গিয়েছি যে প্রথমদিকে তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু 'ফুলকি'-র জনপ্রিয়তা বাড়তেই দিব্যাণীর পারিশ্রমিকও বেড়ে যায়।
মুর্শিদাবাদের এই মেয়ে বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করে ফেলেছেন। দিব্যানীর এখনও পড়াশোনা শেষ হয়নি। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আর তার আগেই সিরিয়ালে কাজ করার সুযোগ চলে আসে। কেরিয়ারের এমন প্রথম বড় কাজের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি দিব্যাণী। আর এখন তো সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
কৃষ্ণভক্ত দিব্যানী ১৫ বছর বয়স থেকে আমিষ খাওয়া ছেড়েছেন। শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই কৃষ্ণের টানে মায়াপুর চলে যান অভিনেত্রী। দিব্যাণী নাচেও অসাধারণ। যার ঝলক প্রায়ই পাওয়া যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া রিলসে। দিব্যাণীর মিষ্টি মুখ ও অভিনয় ইতিমধ্যেই সকলের মন জয় করে নিয়েছে।