টেলিভিশনে তাঁর দাপট অনেক অভিনেত্রীর চেয়ে বেশি। একসময় তাঁর সিরিয়াল টিআরপি তালিকায় সবার প্রথমে থাকত। গত বছরের জুন মাসেই শেষ হয়েছে মিঠাই। আর এই সিরিয়াল শেষ হতে না হতেই বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তাঁর। তাও আবার দেবের বিপরীতে। টেলিভিশন থেকে এখন কিছুদিন বিরতি নিয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। নায়িকা বরাবরই কৃষ্ণপ্রেমে পাগল। আর দোলের আগের দিনও তাঁকে দেখা গেল কৃষ্ণের আরাধনায় বিভোর হয়ে থাকতে।
সৌমিতৃষার পারিবারিক রীতি অনুযায়ী দোল পূর্ণিমায় তাঁদের বাড়িতে পুজো হয়। সেই রীতি এই বছরও বজায় ছিল। রবিবার থেকে পূর্ণিমার তিথি পড়ে যাওয়ার কারণে ওইদিনই মিঠাই রানির বাড়িতে রাধামাধবের পুজো হয়েছে। যার ঝলক দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। সৌমিতৃষাকে দেখা গিয়েছে নীল রঙের সালোয়ার কামিজে, ওড়না মাথা বাধা। হাতে নাড়ু গোপালকে নিয়ে প্রথম দোলের রং তাঁকেই মাখালেন সৌমিতৃষা। ক্যাপশনে হিন্দিতে লেখা, আজ নন্দদুলালকে আবির মাখাই। খুব নিষ্ঠাভরেই সৌমিতৃষার বাড়িতে পুজো, যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।
সৌমিতৃষা এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে দোলের দিন তিনি বাড়ি থেকে বের হন না। এটা তাঁর মা-বাবারই নির্দেশ যা তিনি মেনে চলেন এখনও। তবে দোলের দিন কোনও পুল পার্টি বা হোলি ইভেন্টে যেতে ইচ্ছে করে না সৌমিতৃষার, তাঁর মন পড়ে থাকে বৃন্দাবনে। ব্রজবাসীদের সঙ্গে রং খেলায় মাতার ইচ্ছে তাঁর। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের মতো বাস্তব জীবনেও কৃষ্ণভক্ত অভিনেত্রী। জন্মদিনেই বৃন্দাবন থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি। খুব শীঘ্রই দীক্ষিত হওয়ার ইচ্ছে রয়েছেন তাঁর।
দোলের দিন সৌমিতৃষাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার বিশাল আয়োজন থাকলেও সবই নিরামিষ। এদিন তাঁর বাড়িতে আমিষ খাওয়ার চল একেবারেই নেই। দোলের দিন তাই পরিবারের সঙ্গেই আনন্দে কাটাবেন সৌমিতৃষা। সৌমিতৃষার কাছে যে কোনও উৎসব মানেই কৃষ্ণ আর কৃষ্ণ। কৃষ্ণপ্রেমে তিনি মগ্ন। তাই তো সুযোগ পেলেই সৌমিতৃষা চলে যান বৃন্দাবনে। সংবাদমাধ্যমকে সৌমিতৃষা জানিয়েছেন যে বৃন্দাবনে তাঁর বাড়ি কেনারও ইচ্ছে রয়েছে। খুব শীঘ্রই সেখানে গিয়ে দীক্ষা নেবেন নায়িকা।