ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের(India Today Conclave) প্রথমদিন মঞ্চে হাজির হন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। ১৪ মার্চ আমির খান ৬০ বছরে পা দেবেন। আর তার আগে কনক্লেভের মঞ্চে লাইট, ক্যামেরা, আমির: থ্রি ডিকেডস অফ অফ সুপারস্টার সেশনে এসে আমির খান তাঁর জীবন, কেরিয়ার, সন্তান ও সিনেমা সহ অন্য বিষয়ের ওপরও কথা বলেন। কনক্লেভের মঞ্চে আমিরকে জিজ্ঞাসা করা হয় দেশে কি অতি জাতীয়তাবাদের যুগ চলছে? আমির এই প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন জানুন।
সেশন চলাকালীন আমির খানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কি মনে করেন যে আজকাল দেশে যথেষ্ট উগ্র জাতীয়তাবাদ রয়েছে? এ ব্যাপারে আমির বলেন, আমি জানি না। আমি ফিল্মি দুনিয়াতে হারিয়ে থাকি। এই বিষয়ে বলতে পারব না। আপনি বলুন। এরপর আমির ডেল্লি বেলি-র মতো সিনেমা সম্পর্কে বলেন, যেখানে অশালীন শব্দ ও দৃশ্য ছিল। আমির খান বলেন, একজন অভিনেতার জন্য কমেডি করা খুবই কঠিন কাজ। আমার এটা করতে খুবই ভাল লাগে আর সিনেমা তৈরি করতেও বেশ লাগে।
ডেইলি বেলির স্ক্রিপ্টটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম এটা প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমা। যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে এই সিনেমাটি দেখবেন না। আমির খান ৬০ বছরে পা দেবেন খুব শীঘ্রই কিন্তু তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন যে তিনি ৬০ বছরের সেটা অনুভব করেন না, তাঁর মস্তিষ্ক এখনও ১৮ বছরের। যখন অভিনেতা আয়না দেখেন, তখন বুঝতে পারেন যে তিনি অষ্টাদশের তরুণ নন।
লগান সিনেমা নিয়ে আমির খান একটা গল্প বলেন কনক্লেভের মঞ্চে। তিনি বলেন, লগান সিনেমার সময় আমরা ভয়ে ছিলাম। জাভেদ সাহেব আমায় ফোন করে তাঁর কাছে ডাকেন। আমায় তিনি বলেন যে আমি এটা কোন ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি। আমি এই সিনেমা কেন বানাচ্ছি। এটা একদিনও চলবে না। খেলাধূলো, ক্রিকেট সংক্রান্ত সিনেমা সফল হয় না। তুমি যে সময়কালের কথা বলছ কে বুঝবে। আর তুমি অমিতাভ বচ্চনের বর্ণনা দিয়েছো। সেই সময়ে অমিতাভ বচ্চনের কন্ঠ ও বর্ণনামূলক যে ছবিতে থাকত, তা ফ্লপ হতো।
আমির আরও বলেন, লগান তৈরি করা খুব কঠিন ছিল। সেই সময়ের তুলনায় এটি ব্যয়বহুল ছিল। এই সিনেমাটি যেন বিশ্বের সব মানুষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১০ হাজার দর্শক এই ছবিটি দেখেছিল। আমাদের মনে হয়েছিল যে তাঁদের ক্রিকেট সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই, সেখানে সবাই ইউরোপের ছিল। ফেস্টিভ্যালে এই ছবি দর্শকদের বিচারে সেরা ছবির অ্যাওয়ার্ড জেতে।
লগান প্রসঙ্গে আরও এক গল্প কনক্লেভের মঞ্চে শোনান আমির। তিনি বলেন, লগানে ক্রিকেট শ্যুট করা খুবই মুশকিল ছিল। একটি দৃশ্যে, আমার চরিত্র ভুবন মন্দিরে দাঁড়িয়ে আর ভুবন ভাবছে যে সে জিততে পারবে না। আর তখনই মায়াই পিছন থেকে আসে আর বলে আমি কেন চিন্তিত? ভুবন তখন বলেন, ইয়ে বীড়া উঠাকে হামনে কনো গলতি তো নেহি কী। এই সংলাপ আমি আর আশুতোষ (গোওয়াড়িকর) রোজ রাতে একে-অপরকে বলতাম। আর জানেন সাড়ে সাত ঘণ্টার সিনেমা আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ওটা সিনেমার প্রথম কাট ছিল। যখ ওটা শেষ হল আমরা রীতিমতো ক্লান্ত। তখনও আমি এই একই কথা বলেছিলাম। লগান-এর সফর খুব দীর্ঘ ছিল। লগান সিনেমা করার আগে আমি ভয়েই ছিলাম। আমি ঝুঁকি নিই কিন্তু ভয়েও থাকি। কিন্তু সেটারই আমি গাইড নিয়ে চলি।