Advertisement

Dhumkkudia: ১৪ বছরের মেয়ের ১০০ বার রেপ! নারকীয় ঘটনার ছবি গেল CANNES-এ

দিল্লিতে থাকার সময় মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। স্নানঘরে একটি শিশুর জন্ম দেয় এবং সে দিনই কোনও ক্রমে সেখআন থেকে পালাতে সক্ষম হয়। আমি তাকে দত্তক নেব স্থির করি। ওই সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে বেশ কয়েক বার বিক্রি করা হয়েছে। তাকে খুন করার আগে অন্তত ১০০ বার ধর্ষণ করা হয়। আমি ঘটনার কথা জেনে ভীষণ ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিলাম। রিসার্চের কাজও বন্ধ করে দিই। তার পরই ঠিক করি এই ঘটনা নিয়ে সিনেমা তৈরি করব।'

ধুমকুড়িয়া
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Jun 2021,
  • अपडेटेड 4:07 PM IST
  • দিল্লিতে থাকার সময় মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। স্নানঘরে একটি শিশুর জন্ম দেয় এবং সে দিনই কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়।
  • তার পর বহু কষ্ট করে সে বাড়িতে ফেরে। আমি তাকে দত্তক নেব স্থির করি। তার আগে কিছু দিনের জন্য আমায় আমেরিকা ফিরতে হয়েছিল।
  • ফিরে তাদের গ্রামে গিয়ে জানতে পারি, ওই সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে বেশ কয়েক বার বিক্রি করা হয়েছে। তাকে খুন করার আগে অন্তত ১০০ বার ধর্ষণ করা হয়।

নারী পাচার এবং যৌন অত্যাচার নিয়ে তৈরি নাগপুরি ছবি ধুমকুড়িয়া এ বার কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে। পরিচালক নন্দলাল নায়েক আদাবাসী সম্প্রদায়ের উপর এই ছবি তৈরি করেছেন। যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার আদাবাসী তরুণীকে মিথ্য কাজের আশ্বাস দিয়ে বড় শহরে এনে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তার পর শুরু হয় অকথ্য যৌন অত্যাচার। ছবিতে ঝাড়খণ্ডের ১৪ বছরের মেয়ের সত্যি ঘটনার উপর তৈরি করা হয়েছে ছবিটি।

ছবিটি এর মধ্যএই বিশ্বের বহু নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। বিশ্বের তাবড় ফিল্ম সমালোচকরা ছবির অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন। ৫২ দিন ধরে ছবির শুটিং হয়েছে ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকায়। ৮৪ দেশে ৬০টি পুরস্কারে ইতিমধ্যেই ভূষিত হয়েছে ছবিটি। আগামী ১২ জুলাই কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি দেখানো হবে।

পরিচালক নন্দলাল নায়েক একজন অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালকও। ছবিতে যে মেয়ের ঘটনা দেখানো হয়েছে তার সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে নন্দলাল জানান, তিনি যখন মেয়েটির কাহিনি শুনেছিলেন তখন ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন। কী ভাবে দিল্লির একটি অভিজাত এলাকা থেকে ক্রমাগত যৌন অত্যাচারের পর পালিয়েছিল মেয়েটি, সেই ঘটনা দেখানো হয়েছে ছবিতে।

পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী মুকুন্দ নায়েকের সুপুত্র নন্দলাল। আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান স্টাডিজ থেকে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন নন্দলাল। তার পর দীর্ঘ দিন তিনি আমেরিকায় কাটিয়েছেন। ২০০৩ সালে আদাবাসী লোকসঙ্গীত নিয়ে রিসার্চ করার জন্য তিনি দেশে ফেরেন। ঝাড়খণ্ডের গ্রামে গিয়ে কাজ করার সময় তিনি এই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, 'সঙ্গীতের কাজ করতে ঝাড়খণ্ডের একটি ছোট্ট আদিবাসী গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানেই এই মেয়েটির সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমার কাজ দেখার জন্য গ্রামের প্রায় সকলেই ভীষণ উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু এই মেয়েটির কোনও বিষয়ে কোনও উৎসাহ দেখতে পাইনি। ধীরে ধীরে তার বিশ্বাস অর্জন করার পর সে আমায় তার ঘটনা জানায়। কাহিনি শুনে আমার পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছিল।'

Advertisement
ছবির পোস্টার

তিনি আরও বলেন, 'দিল্লিতে থাকার সময় মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। স্নানঘরে একটি শিশুর জন্ম দেয় এবং সে দিনই কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়। তার পর বহু কষ্ট করে সে বাড়িতে ফেরে। আমি তাকে দত্তক নেব স্থির করি। তার আগে কিছু দিনের জন্য আমায় আমেরিকা ফিরতে হয়েছিল। ফিরে তাদের গ্রামে গিয়ে জানতে পারি, ওই সময়ের মধ্যে মেয়েটিকে বেশ কয়েক বার বিক্রি করা হয়েছে। তাকে খুন করার আগে অন্তত ১০০ বার ধর্ষণ করা হয়। আমি ঘটনার কথা জেনে ভীষণ ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিলাম। রিসার্চের কাজও বন্ধ করে দিই। তার পরই ঠিক করি এই ঘটনা নিয়ে সিনেমা তৈরি করব।' তিনি জানিয়েছেন, গত ১০ বছরে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন আদিবাসী গ্রাম থেকে অন্তত ৩০ হাজার মেয়েকে এ ভাবে পাচার করে দেশের বিভিন্ন শহরে যৌনদাসীর কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

 

তবে সিনেমা তৈরির জন্য কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি নন্দলাল। নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করার পরেও সিনেমাটি তৈরি করতে পারেননি তিনি। বহু বছর কষ্ট করার পর সুমিত আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করেন। তার পরই এই ছবি তৈরি করেন তিনি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement