হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ মে সোমবার গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৪। অসময়ে তাঁকে হারিয়ে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাংবাদিক প্রয়াত হয়েছেন। ১৬ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে চলে গিয়েছেন সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক বন্ধু-সহকর্মীদের হারিয়ে কলকাতার কলম খানিক স্তব্ধ-হতভম্ব।
পরিবার সূত্রে, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছিলেন শীর্ষ। সোমবার রাতে সম্পূর্ণ সুস্থই ছিলেন। রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে ঘুমোতে যান তিনি। রাত ১টা পর্যন্ত অ্যাক্টিভ ছিলেন সোশাল মিডিয়ায়। রাত আড়াইটে নাগাদ সব শেষ। পাশে ঘরে থাকলেও কিছুই টের পাওয়া যায়নি। ঘুমের মধ্যে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। ভোরে তাঁর স্ত্রী গিয়ে যখন দেখেন তখন তিনি চলে গিয়েছেন।
তাঁর প্রয়াণে কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, '১৮ মে ২০২১, প্রেস ক্লাব,কলকাতা গভীর দুঃখের সঙ্গে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আকস্মিক ও অকাল প্রয়াণে গভীর শোক ব্যক্ত করছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। সোম- মঙ্গলবারের (১৭-১৮ মে, ২০২১) গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি আজকাল পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন জার্মানিতে দয়চেভেলে বেতারের বাংলা বিভাগে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। সুকণ্ঠ এবং সুব্যক্তিত্বের অধিকারি শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকতায় কৃতিত্ব অর্জনের সঙ্গে সাহিত্যিক হিসেবেও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। লেখা ও বলা উভয় বিষয়েই তাঁর বিশেষ পারদর্শীতা ছিল। তাঁর প্রকাশিত গল্প, উপন্যাসের মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় স্বাধীন বাংলা বেতারের ওপর লিখিত তাঁর তথ্যভিত্তিক উপন্যাস ইথারসেনা খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকস্মিক জীবনাবসানে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রেস ক্লাব, কলকাতা এই উদীয়মান সাংবাদিক ও সাহিত্যিকের অকাল প্রয়াণে তাঁর পরিবার ও সতীর্থদের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।'