আর অপেক্ষা তিনদিনের। তারপরই গোটা বাংলায় মুক্তি পাবে দেব-ইধিকা পালের খাদান ছবি। আর এই ছবির প্রচারও চলছে জোর কদমে। এই প্রথমবার কোনও বাংলা ছবি বাংলার কোণায় কোণায় গিয়ে প্রচার করছেন। খাদান টিমের বাস ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে। আর ছবির প্রচার একটু অন্যরকম করতে ময়দানে এবার নামলেন বাইশগজের মহারাজ তথা সকলের দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দেব ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাতে মঙ্গলবার দুপুর যেন জমজমাট। সঙ্গে ছিলেন ঝুলন গোস্বামী এবং অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তও।
খাদার ছবির প্রচারেই বাইশগজে সৌরভের মুখোমুখি দেব। সঙ্গে উপরি পাওনা ঝুলন গোস্বামী। ‘খাদান’ লেখা টিশার্ট পরে, মাঠে নামতেই জয়ধ্বনি। সেই ছবিই সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেব লিখলেন, ‘দাদা ১১ বনাম সৌরভ ১১।’ মঙ্গলবার দুপুরে এই খেলা হয়। দেবের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে সৌরভকে দেখা গিয়েছে টস করতে, সামনে দাঁড়িয়ে দেব। জানা গিয়েছে, এই খেলার ফলাফল ড্র! বাইশগজে মহারাজকে পাওয়াটাই ছিল টলিউডের ‘রাজার রাজা’ থুড়ি দেবের কাছে সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
বাংলার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে 'খাদান' ছবির প্রমোশন করে চলেছেন দেব। বেঙ্গল ট্যুর এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে 'খাদান' টিম। সমালোচকদের মতে, এই ছবির মাধ্যমে যেন পুরনো দেবকে ফিরে পেতে চলেছেন দর্শক। ইতিমধ্যেই এক কোটির বেশি ভিউ হয়েছে 'কিশোরী' গানে। তবে এই ক্রিকেট খেলায় যে যিশু সেনগুপ্ত উৎশাহ পেয়েছেন তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি ক্রিকেটটা ভালই খেলেন।
সোমবার দেব সহ পুরো খাদান টিম গিয়েছিলেন নৈহাটির বড়মার মন্দিরে। সেখানে মায়ের থেকে আশীর্বাদ যেমন নিলেন তেমনি পুজো-আরতি সব করলেন দেব। সুপারস্টারকে দেখার জন্য বড়মার মন্দিরের সামনে মানুষের ভিড়। দেব সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ান। মানুষের এত ভালোবাসা দেখে আপ্লুত দেব। প্রসঙ্গত, বহু বছর পর ফের কর্মাশিয়াল ছবিতে দেখা যাবে দেবকে। অভিনেতাও এই ছবিতে প্রায় ১০ বছর পর নেচেছেন। তাই এখন শুধুই অপেক্ষা ছবি মুক্তির।