২০২২ সালে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। খুব অল্প বয়সেই মারণ রোগ কেড়ে নেয় টেলিপাড়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর প্রাণ। ঐন্দ্রিলার যে দিদি রয়েছে তা অভিনেত্রী বেঁচে থাকাকালীনই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে জানা গিয়েছিল। তাঁর দিদি ঐশ্বর্য যদিও গ্ল্যামার দুনিয়াতে নেই, তিনি পেশায় চিকিৎসক। তবে বোন মারা যাওয়ার পর ঐশ্বর্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ। ঐশ্বর্যর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখলেই বোঝা যাবে যে তিনি ভিডিও কনটেন্ট, রিলস বানিয়ে থাকেন।
নিজের পেশা সামলে ডাঃ ঐশ্বর্য প্রায়ই রিলস, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন। আবার মাঝে মাঝে বোনু ঐন্দ্রিলাকে নিয়েও পুরনো ছবি-ভিডিও শেয়ার করেন। ঐন্দ্রিলার ভক্তরাও তাঁর দিদির রিলস-ভিডিও দেখতে বেশ পছন্দ করেন। শুক্রবার সেরকমই একটি রিলস শেয়ার করেছিলেন ঐশ্বর্য। আর সেই রিলস দেখার পর ট্রোলের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ঐশ্বর্য গীতা দত্তের গাওয়া তুমি যে আমার গানে রিলস তৈরি করেন। যেখানে ঐন্দ্রিলার দিদিকে দেখা গিয়েছে, লাল পাড় সাদা শাড়ি, তবে তা পরেছেন লাল রঙের টিউব টপের সঙ্গে। মোটা করে চোখে কাজল, কপালে টিপ ও চন্দন, গলায় ফুলের মালা, হাতে লাল চুড়ি ও আলতায় রাঙানো হাত। চুলে খোঁপা করে ফুল দেওয়া।
এই বেশে এসে ঐশ্বর্য রিল তৈরি করে পোস্ট করেন। আর সেই পোস্ট করা ভিডিওতে ঐশ্বর্যর বক্ষ বিভাজিকা স্পষ্ট, দেখা যাচ্ছে শরীরের একাংশ। এই রিল ভিডিও পোস্ট হতেই ঐশ্বর্যকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু হয়ে যায়। অনেকে এই ভিডিওর কমেন্টে লিখেছেন, ছিঃ ম্যাচিং ব্লাউজ নেই তোমার। পরিবারের সংস্কার বলে তো একটা কথা আছে। অনেকে আবার লিখেছেন ইশ। কেউ আবার লেখেন, এসব আবার কী। জামা কাপড় কম পড়েছে। কেউ আবার প্রয়াত ঐন্দ্রিলা শর্মাকে টেনে লেখেন, ভাবতেই লজ্জা হচ্ছে তুমি ঐন্দ্রিলার দিদি। এইসব কমেন্ট দেখার পর ঐশ্বর্য কমেন্ট বক্স বন্ধ করে দেন। তবে ততক্ষণে তিনি যা ট্রোল হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর মারণ রোগ ক্যান্সারে প্রয়াত হন টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মাও দীর্ঘ বছর ক্যান্সার আক্রান্ত। এখন মা-বাবাকে নিয়েই ঐশ্বর্য থাকেন। চিকিৎসকের পেশা সামলে ঐশ্বর্য রিলস ও ভিডিও কনটেন্ট বানান। তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা ২৮ হাজার। তিনিও চেষ্টা করছেন গ্ল্যামার ও বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে।