
টলিপাড়ার ব্যস্ত নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মিমি চক্রবর্তী। তাঁর অভিনয় যেমন প্রশংসিত তেমনি তাঁর স্টাইল একেবারেই আলাদা অন্য সকলের চেয়ে। সম্প্রতি রক্তবীজ ২-তে মিমিকে দেখা গিয়েছে বিকিনি লুকসে। রীতিমতো ঘাম ঝরানো বোল্ড লুকে বড়পর্দায় বহু বছর পর কোনও নায়িকাকে দেখা গেল। সম্প্রতি শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে গ্ল্যামারস লুকে দেখা গেল প্রাক্তন সাংসদ মিমিকে। এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাঁকে কালো রঙের লেসের সি-থ্রু পোশাকে দেখে নেটিজেনের একাংশ যেমন প্রশংসা করলেন, তেমনি তাঁকে ট্রোলড করতেও ছাড়লেন না।
এমনিতে মিমি ছক ভাঙতে ভালোই বাসেন। সেভাবে কখনও বোল্ড আউটফিটে ধরা না দিলেও রক্তবীজ ২-তে তাঁর বিকিনি ফিগার অনেকেরই রাতের ঘুম উড়িয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে মিমি পরেছিলেন ন্যুড অন্তর্বাসের উপর সি-থ্রু লেসের গাউন। শরীরের ওপরের অংশ বেশ স্বচ্ছ। এই পোশাকের সঙ্গে তাঁর মানানসই মেকআপ ও পনিটেল করে বাঁধা চুল, তাঁকে আরও স্টানিং করে তুলেছিল। মিমির এই লুকসের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
প্রাক্তন সাংসদ তথা নায়িকা মিমির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলিউডের উরফি জাভেদের। যিনি প্রায়ই তাঁর পোশাকের কারণে খবরের শিরোনামে আসেন। একজন লিখেছেন, বাংলার উরফি জাভেদ। তবে প্রশংসার পাশাপাশি ট্রোলডও করা হয়েছে মিমিকে। কেউ লিখলেন, ভ্যাম্পায়ার লুক আবার কেউ লিখেছেন, কার্টুনের মতো লাগছে। আবার কেউ লেখেন, যা খুশি পরলেই হল, মানাচ্ছে কিনা সেটা দেখে না। টলিউড তারকাদের ট্রোলড বা কটাক্ষ করা নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার মিমি ট্রোলের শিকার হয়েছেন। তবে এইসব ট্রোলিং, খারাপ মন্তব্যকে খুব একটা পাত্তা দিতে চান না নায়িকা। বরং একেবারে নিজের মতো করেই জীবন কাটাতে ভালোবাসেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানের ফাঁকে নুসরত জাহানের সঙ্গেও সৌজন্য় বিনিময় করতে দেখা গেল মিমিকে। এদিন নুসরতকেও দেখা গেল কালো রঙের পোশাকে। দেখা হতেই একে-অপরকে জড়িয়ে ধরলেন মিমি ও নুসরত। যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে গত বছরই ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। এখন পুরো ফোকাস তাঁর অভিনয়ের ওপরই। একের পর এক সিনেমায় কাজ করে চলেছেন নায়িকা।