পদ্মভূষণ সম্মান পাওয়ার পর বিশেষ বার্তা দিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবার ভিডিয়ো বার্তায় 'মহাগুরু' বললেন, 'জীবনে কখনও নিজের জন্য কারও কাছ থেকে কিছু চাইনি। কিছু না চেয়ে পাওয়ার যে আনন্দ আজ সেটা উপলব্ধি করছি। অন্যকম অনুভূতি।' লোকসভা নির্বাচনের আগে মিঠুনকে পদ্ম সম্মান প্রদান রাজনৈতিক দিক থেকে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। মিঠুনকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কী বলেছেন মিঠুন?
ভিডিয়ো বার্তায় মিঠুন বলেছেন, 'আমি গর্বিত, আনন্দিত, পুরস্কার পাওয়ার জন্য। জীবনে কখনও নিজের জন্য কারও কাছ থেকে কিছু চাইনি। কিছু না চেয়ে পাওয়ার যে আনন্দ আজ সেটা উপলব্ধি করছি। অন্যকম অনুভূতি। সমস্ত অনুরাগীদের উৎসর্গ করছি। যাঁরা আমাকে নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসেছেন, তাঁদের উৎসর্গ করছি।'
২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। যদিও ভোটে লড়েননি তিনি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মিঠুনকে এই সম্মান প্রদান তাই আলাদা নজর কেড়েছে। মিঠুনকে পদ্মভূষণ প্রদান করা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, 'অভিনয়ের স্বীকৃতিতে পদ্মভূষণ নয়। তা হলে ২০১৪-এর পর যে কোনও সময় পেতেন। এখন এটা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করা আর কুৎসা করার পারিশ্রমিক। দলবদল করে, কৃতজ্ঞতার মোড়ক খুলে,ভাড়া করা নোটাঙ্কির পুরস্কার।'
১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' ছবির হাত ধরে রুপোলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল মিঠুনের। প্রথম ছবিই তাঁকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল। পরে মুম্বই পাড়ি দেন মিঠুন। আশির দশকে বলিউডে ডিস্কো সংস্কৃতির আমদানি হয়েছিল মিঠুনের হাত ধরেই। 'ডিস্কো ডান্সার' ছবির দৌলতে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন বাংলার মিঠুন।
পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপকেও। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার পদ্ম পুরস্কারের প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। পদ্ম বিভূষণ পাচ্ছেন অভিনেত্রী বৈজয়ন্তী মালা, অভিনেতা চিরঞ্জীবী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু-সহ ৫ জন। এ বছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে বাংলার 'গাছ দাদু' ওরফে দুখু মাঝিকে। পদ্ম সম্মান দেওয়া হচ্ছে দেশের প্রথম মহিলা মাহুত পার্বতী বড়ুয়াকেও। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন বীরভূমের ভাদু শিল্পী রতন কাহার, কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্রপাল, পুরুলিয়ায় ছৌ নাচের মুখোশ তৈরির কারিগর নেপালচন্দ্র সূত্রধরও।