
এখন অনেক বলিউড তারকারাই অভিনয় পেশার পাশাপাশি নিজেদের বিকল্প পেশা শুরু করেছেন। বেশিরভাগই অবশ্য মুম্বইতে রেস্তোরা-ক্যাফে খুলে নিয়েছেন। এবার সেই রাস্তায় হাঁটলেন বং কন্যা তথা বলিউড নায়িকা মৌনি রায়। মুম্বই ও বেঙ্গালুরুতে রয়েছে তাঁর রেস্তোরাঁ। কিন্তু সেই রেস্তোরাঁর খাবারের দাম দেখলে, চোখ কপালে উঠবে আপনার। এত দামি দামি খাবার হজম হবে না আপনার।
মৌনি রায়ের এই রেস্তোরাঁয় ভারতীয় ভারতীয় খাবারই পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁটি গাছপালা দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কিন্তু মেনু কার্ডে নজর পড়লেই চক্ষু চড়কগাছ হবে আপনার। খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যেতে পারে। এক রিপোর্টে মৌনি রায়ের রেস্তোরাঁর খাবারের কত দাম তা বলা হয়েছে। এখানকার বেশ কিছু পদের দাম সত্যিই বেশ চড়া।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহী টুকরা ও গুলাব জামুনের দাম ৪১০ টাকা। অ্য়াভোকাডো ভেলপুরি পাওয়া যায় মৌনির রেস্তোরাঁয়, যার দাম ৩৯৫ টাকা। মশলা মাখানো বাদাম, মশলা পাঁপড়, পাঁপড়ি চাট ও ক্রিস্পি কর্নের দাম ২৯৫ টাকা। চিংড়ি মাছের আইটেম ৭৯৫ টাকা আর তন্দুরি রুটির দাম ১০৫ টাকা। এখানেই শেষ নয়, এই রেস্তোরাঁয় নান পাওয়া যায় ১১৫ টাকায়। অমৃতসরি কুলচা ১৪৫ টাকা দাম। মৌনি রায়ের রেস্তোরাঁর খাবারের দাম শুনে চোখ কপালে ওঠারই কথা। তবে নেটাগরিকের মতে, সামান্য বেশি দাম এগুলির। যদিও এই রেস্তরাঁয় যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা জানিয়েছেন, গুণমান অনুযায়ী দাম একেবারেই ঠিক।
মৌনি রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি ভারতীয় খাবার পছন্দ করি। বিদেশে কাজের গেলেই আমি ভারতীয় খাবারের খোঁজ করি। আমার মনে হয়েছিল, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইতে ভারতীয় খাবারের ভাল কোনও রেস্তরাঁ নেই। তাই এমন একটা রেস্তরাঁর কথা ভেবেছিলাম। ২০২৩ সালে এই রেস্তোরাঁ খোলেন মৌনি। উল্লেখ্য, ‘সালাকার’ ছবিতে কয়েক মাস আগেই দেখা গিয়েছে মৌনীকে। তার আগে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে খলচরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মৌনী রায়।