একসময় বাংলা ছবিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাচের দিওয়ানা ছিলেন সকলে। তিনি পর্দায় আসলেই শোরগোল লেগে যেত। প্রসেনজিৎ হোক বা অভিষেক রচনা সঙ্গে থাকলে সেই নাচ থেকে চোখ ফেরানো যাবে না। এখন অবশ্য বড়পর্দা থেকে বহু আগেই বিদায় নিয়েছেন অভিনেত্রী রচনা। এখন তাঁর পরিচিতি দিদি নম্বর ১ এবং তার সঙ্গে হুগলির সাংসদ হিসাবে। যে নাচের জন্য ভক্তদের কাছে প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। আর সেই নাচ করতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বকা খান রচনা।
এই বছর রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলুদ রঙের প্রিন্টেড শাড়িতে দারুণ সুন্দর লাগছিল রচনাকে। রচনা ছাড়াও এই কার্নিভালে দেখা গিয়েছিল নুসরত জাহান, জুন মালিয়া, সোহম, সৌমিতৃষা,রিয়া-রাইমা, শ্রীতমা, সায়নী সহ বেশ কিছু টলি তারকাদের। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে পা মেলান। তবে ডান্ডিয়া খেলতে গিয়ে মতার কাছে বকা খেলেন রচনা। আসলে কার্নিভাল চলাকালীন ডান্ডিয়া নাচ চলছিল। হাতে ডান্ডিয়া নিয়ে জুন-সায়নীর সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশেই ছিলেন রচনা, তাঁর হাতেও ছিল ডান্ডিয়া। তিনি নাচার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গ দেওয়ার সময় বারবারই নাচের স্টেপ ভুল করছিলেন সাংসদ তথা দিদি নম্বর ১। কিন্তু দিদির চোখকে ফাঁকি দেওয়া অত সহজ তো নয়। মমতা রচনার সঙ্গে ডান্ডিয়া নাচতে গিয়ে বিরক্ত হয়েই রচনাকে ডান্ডিয়া শেখাতে লাাগলেন। দিলেন বকাও। রচনাও চুপ করে কথা শুনলেন দিদির। তারপরই মমতার সঙ্গে দারুণভাবে ডান্ডিয়া নাচে মেতে উঠলেন রচনা। মমতা-রচনার ডান্ডিয়া নাচের সেই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই এই ভিডিওতে ট্রোল করতে ছাড়েননি।
রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই একের পর এক ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও ধোঁয়া ধোঁয়া, কখনও বা কাজল পড়ে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ আবার কখনও বা কুইন্টাল কুইন্টাল জল বিতর্ক। তবে এইসব ট্রোল-বিতর্ককে খুব একটা পাত্তা দিতে চান না রচনা। কিছু দিন আগেও বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে ফেরার সময়ে হাতে কচু থাকায় ট্রোল্ড হতে হয়েছিল তাঁকে। এ সবের মাঝেই মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিতে গিয়ে রচনা অনশনকারীদের উদ্দেশে রেখেছিলেন বক্তব্য। রাজনীতির পাশাপাশি রচনা দিদি নম্বর ১-এও সঞ্চালনার কাজ করছেন। পুজোর আগেই বর-ছেলেকে নিয়ে ঘুরে এসেছেন।