নিখিল জৈন ও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান আজ জানান, তিনি অবিবাহিত। নিখিল জৈনর সঙ্গে লিভ-ইন করেছেন মাত্র। তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে যে অনুষ্ঠান হয়েছিল, তা অবৈধ। হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে যে বিশেষ আইন মেনে বিবাহ করা উচিত, সেটাও তাঁরা করেননি। তাই বিবাহই যেখানে হয়নি, সেখানে বিচ্ছেদের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে?
তবে এই তৃণমূল সাংসদ নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করলেও লোকসভার ওয়েবসাইটে সাংসদদের সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া রয়েছে, সেখানে নুসরতকে বিবাহিত হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। লোকসভার যাঁরা সাংসদ রয়েছেন তাঁদের নাম লিখে Lok Sabha website সার্চ করলেই, সংশ্লিষ্ট সাংসদ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সামনে আসে। নুসরতের ক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি বিবাহিত ও তাঁর স্বামীর নাম নিখিল জৈন। বিয়ের তারিখ ২০১৯ সালের ১৯ জুন।
নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি, এটা নুসরত আজ দাবি করলেও তখন কেন লোকসভায় বিবাহ সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলেন? এই প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের মতে, নুসরত যে বিবাহিত নন, সেটা গণমাধ্যমকে জানালেই শুধু হবে না। কোর্টেও তাঁকে প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি লোকসভাতেও কেন স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনর নাম লিখলেন, তা নিয়েও সংসদে জবাবদিহি করতে হতে পারে নুসরতকে।
এই বিষয়ে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, 'সংবাদমাধ্যমের সামনে নুসরত দাবি করতেই পারেন তিনি অবিবাহিত। তবে এটা কোর্টে প্রমাণ সাপেক্ষ বিষয়। লোকসভার ওয়েবসাইটে নুসরতের বিয়ে সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া আছে, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। এই তথ্য নুসরত দিয়ে থাকলে, কেন দিলেন? সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠে যায়। মনে রাখতে হবে, নুসরত একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি আইনসভার সদস্য। তাই সংসদে কোনও তথ্য দেওয়ার আগে ভেবেচিন্তে দেওয়া উচিত।'
এই নিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা নুসরতের ব্যক্তিগত বিষয়। তাঁর বৈবাহিক জীবন বা গর্ভে কার সন্তান রয়েছে, এগুলো প্রকাশ্যে এভাবে আলোচনা হওয়া ঠিক নয়। তবে যদি উনি নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করে থাকেন, তাহলে লোকসভায় কীভাবে তাঁর স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনর নাম এল তা খতিয়ে দেখা দরকার।'