টলিউডের ডাকসাঁইটে সুন্দরী বলেই পরিচিত নুসরত জাহান। অভিনয় নিয়ে সেভাবে চর্চায় না থাকলেও অভিনেত্রী তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সর্বদাই চর্চায় থাকেন। বিশেষ করে তাঁদের প্রেমিকদের নিয়ে। নিখিল-যশের আগেও নুসরত জড়িয়েছিলেন সেরকমই এক সম্পর্কে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। শোনা যায়, টলিউডের খ্যাতনামা প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নুসরত জাহান রুহি। যদিও বরাবরই সেই সম্পর্ককে অস্বীকার করে এসেছেন অভিনেত্রী। তবে টলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় একেবারে অন্য গল্প।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল
সেই সময় শোনা গিয়েছিল যে নুসরত ও শ্রীকান্ত মোহতা একে-অপরের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাচ্ছেন। হোয়াটস অ্যাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। এসভিএফের অফিসে গিয়ে শ্রীকান্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন নায়িকা। এর জেরেই নাকি ভাঙতে চলেছে শ্রীকান্ত-সরিতার ২২ বছরের বিবাহিত জীবন। যদিও এই নিয়ে নুসরত খুব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর ও শ্রীকান্ত মোহতার মধ্যে এরকম কোনও সম্পর্কই নেই। তিনি প্রযোজকের ঘর ভাঙার জন্য দায়ী নন।
ঘর ভাঙতে বসেছিল প্রযোজকের
যদিও টলিউডের একাংশ কিন্তু মনে করেন শ্রীকান্তের সঙ্গে নুসরতের মাখো মাখো সম্পর্কই কিন্তু প্রযোজকের ২২ বছরের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বিষয়টি এতদূর পর্যন্ত চলে যায় যে সরিতা ডিভোর্স নেবেন বলেই ঠিক করেছিলেন। কিন্তু গোটা সমীকরণটি বদলে যায় ২০১৯ সালে শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতারির পর। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে শ্রীকান্ত-সরিতার সম্পর্কে তিক্ততা আসে। শোনা যায়, নুসরতের সঙ্গে শ্রীকান্তের ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সরিতা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও আসেন। সে বছরের শেষের দিকে তাঁরা ডিভোর্স ফাইল করেন। আইনি বিচ্ছেদ নিয়ে শ্রীকান্ত বা সরিতা প্রকাশ্যে কোনও দিন মন্তব্য করেননি।
নুসরতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি
তবে এই পরিস্থিতির আঁচ যাতে দুই ছেলের উপরে না পড়ে, তার জন্য তাঁদের বাইরে পড়তে পাঠিয়ে দেন। এত কিছুর মধ্যে নুসরতের সঙ্গে প্রযোজকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১৮-র শেষের দিকে নায়িকা-প্রযোজকের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে নুসরত বিয়েও করে ফেলেন ব্যবসায়ী নিখিল জৈনকে। তারপর থেকেই নাকি শ্রীকান্ত-সরিতার মাঝের বরফও গলতে শুরু করে। বলা যায়, এই পরিস্থিতিতে শ্রীকান্তের গ্রেফতারি অনুঘটকের কাজ করে। এক সময় নুসরত বলেছিলেন যে তিনি কোনওদিনই খারাপ সময়ে শ্রীকান্ত মোহতার পাশ থেকে সরে যাবেন না। বন্ধু হিসাবে থাকবেন। কিন্তু রোজ়ভ্যালির সঙ্গে এসভিএফ-এর চুক্তি ও টাকার লেনদেন সংক্রান্ত গরমিলের কারণে সিবিআই শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করতেই পাশ থেকে সরে যান নুসরত। মন দিয়ে বসেন নিখিল জৈনকে। সেই সময় নুসরত ওই ব্যবসায়ীর সংস্থার প্রধান মুখ ছিলেন। যদিও নিখিল-নুসরতের বিয়েও খুব বেশিদিন টেকেনি।
নুসরত এখন লিভ ইন করছেন যশের সঙ্গে
বর্তমানে নুসরত লিভ ইন করছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে ইশান। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও এখনও এসভিএফের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় নুসরতের। এই প্রযোজনা সংস্থার কোনও সিনেমাতে তাঁকে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।