সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্য বং গাই তথা কিরণ দত্ত দারুণভাবে জনপ্রিয়। গিটার হাতে ফিনফিনে চেহারার সেই লাজুক ছেলেটা আজ বাংলা প্রোডাকশন হাউসের স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে শুরু করে ছোটখাটো অভিনয়তেও সফলতার এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কিরণ দত্তের এক একটা কনটেন্ট এখন লাখো লাখো ভিউ ছোঁয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিরণ দত্ত যদিও বং গাই নামেই পরিচিত। একটা ছোট্ট ভাইরাল ভিডিও থেকে কীভাবে কিরণ আজ এত বড় জায়গায় পৌঁছালো সে কথা অনেকেই জানেন। তবে কিরণ পড়াশোনায় কেমন ছিলেন সেটা জানা আছে কী?
কিরণ দত্তের স্কুল জীবনের রেজাল্ট দেখলে তাবড় তাবড় মেধাবীরাও অবাক হয়ে যাবেন। কিছুমাস আগেই কিরণ তাঁর মাধ্যমিকের রেজাল্ট সকলের সামনে এনেছিলেন। তাতে দেখা যায় অধিকাংশ বিষয়ে ‘AA’ পেয়েছেন কিরণ। অর্থাৎ, তিনি ‘আউটস্ট্যান্ডিং’। এরপর উচ্চমাধ্যমিকে সায়েন্স নিয়ে পড়েন। সেই সময় তাঁর গার্লফ্রেন্ড হলেও পড়াশোনায় কোনও খামতি ছিল না কিরণের। অর্থাৎ এটা দেখে স্পষ্ট যে পড়াশোনায় খুব ভালোই ছিলেন বং গাই কিরণ দত্ত। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়া শেষ না করেই ইউটিউবার হয়ে যান কিরণ।
এই মুহূর্তে কিরণের ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার্স। কিন্তু শুরুটা মোটেই সহজ ছিল না। যখন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন, সেসময় বাঙালি ইউটিউবারের সংখ্যাও খুব বেশি ছিল না। তবে নিজের চ্যানেলকে প্রতিষ্ঠিত করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু একটা সময়ের পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি বং গাই-কে। হাঁকিয়েছেন একের পর এক ছক্কা। সাধারণ ঘরের ছেলে। যেদিন ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে এই পথ বেছেছিলেন সঙ্গ দিয়েছিলেন পরিবার? রীতিমতো নাকি চমকে উঠেছিলেন মা। কিন্তু অবশেষে যখন টাকা ঢুকতে শুরু করল, তখন বুঝেছিলেন, ছেলে ঠিক পথেই চলছে। লক্ষ লক্ষ ভিউ, একের পর এক ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। অচিরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর 'বং গাই'।
তিনি ২০১৫ সালে প্রথম YouTube এ তার একটি চ্যানেল উদ্বোধন করেন। সাধারণত কমেডি ভিডিও আপলোড করে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপামর জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। এইভাবে একা একা বকবক করে ঘরে বসে যে ইউটিউব থেকে উপার্জন করা যায় তা প্রথম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ‘বং গাই’ এর মাধ্যমেই। এখন কিরণ দত্ত নিজের গাড়ি, ফ্ল্যাট সবই করে নিয়েছেন। তাঁর অনুরাগীদের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। তবে পড়াশোনাকে বরাবরই সবকিছুর থেকে এগিয়ে রেখেছেন কিরণ।